দ্রুত করোনার টিকা কিনবে বিসিবি

দেশে টিকা আসার পর সরকারের টিকাদানের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে করোনার টিকা পাবেন সব খেলার জাতীয় দলের ১০ হাজার ৯৩২ জন করে খেলোয়াড়। কিন্তু সামনে খেলার ব্যস্ত সূচি থাকায় ক্রিকেটারদের টিকার জন্য বিসিবি অপেক্ষা করতে রাজি নয়।

অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে।

অবশেষে করোনার টিকা অনুমোদন পেয়েছে। বেশ কিছু দেশে করোনার টিকাকরণ শুরুও হয়ে গেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনার টিকা এসে যাবে বাংলাদেশে। সরকারিভাবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা প্রদান শুরু হবে আগামী মাস থেকেই।

দেশে টিকা আসার পর সরকারের টিকাদানের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে করোনার টিকা পাবেন সব খেলার জাতীয় দলের ১০ হাজার ৯৩২ জন করে খেলোয়াড়। কিন্তু সামনে খেলার ব্যস্ত সূচি থাকায় ক্রিকেটারদের টিকার জন্য বিসিবি অপেক্ষা করতে রাজি নয়। তাই সরকারি টিকার অপেক্ষা না করে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট খেলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য নিজেরাই টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টিকা দেশে আসার পরই কিনবে বিসিবি।

সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে টিকা আনবে বেক্সিমকো ফার্মা। আর বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান  বিসিবিরও সভাপতি। বেক্সিমকো থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরাসরি টিকা কেনার সুযোগটা তাই নিতে চায় বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন।

ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে সুজন বলেন, ‘যখনই দেশে বেসরকারিভাবে টিকা বিক্রি শুরু হবে, দেরি না করে বিসিবি তখনই টিকা কিনবে। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেক্সিমকোর করপোরেট সেলের আওতায় আমরা এটা কিনব।’

বিসিবি কী পরিমাণ টিকা কিনবে, সে তালিকা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে বিসিবির পরিকল্পনা আছে মাঠকর্মী, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারি-স্কোরার, কোচসহ যারা খেলা এবং অনুশীলনের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করা।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আছেন। কিন্তু খেলা, অনুশীলনের সঙ্গে আরও যারা সম্পৃক্ত, তারা তালিকাতে নেই এবং তাঁদের থাকার কথাও নয়। সে জন্যই কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

গত মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। গত ২২ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। এরপর গত অক্টোবর-নভেম্বরে জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। দুটি টুর্নামেন্ট খেলেছেন জাতীয় দল, এইচপি দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। তাই এখনো মাঠে ফেরা হয়নি দেশের ক্রিকেটারদের বড় একটা অংশের।

জাতীয় দল, নারী দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিসিবির চিন্তায় আছে ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও টিকা নিশ্চিত করে তাদের দ্রুত মাঠে ফেরানো।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...