শচীন জাদুর কয়েক পদ

ভারতীয় ক্রিকেটে শচীনের অবস্থান অনেক উপরে। সেটা বুঝতে বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিরাট কোহলি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি ইডেন গার্ডেন্সে সকল দর্শকের সামনে মাথা নত করেছেন শচীন টেন্ডুলকারের কাছে। আবার লর্ডসে বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং একটি প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর পা ছুয়েছেন ক্রিকেট দেবতা শচীন টেন্ডুলকারের।

ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ১৯৮৩ সাল থেকে। কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল যখন শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ঘরে তুলেছিলো বিশ্বকাপ শিরোপা। আর ভারতে ক্রিকেটকে অন্যন্য উচ্চতায় তুলেছেন আরেকজন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।

ভারতীয় ক্রিকেটে শচীনের অবস্থান অনেক উপরে। সেটা বুঝতে বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিরাট কোহলি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি ইডেন গার্ডেন্সে সকল দর্শকের সামনে মাথা নত করেছেন শচীন টেন্ডুলকারের কাছে। আবার লর্ডসে বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং একটি প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর পা ছুয়েছেন ক্রিকেট দেবতা শচীন টেন্ডুলকারের।

দীর্ঘ ২৪ বছর ভারতীয় দলের হয়ে দূর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। অনেকবারই পুরো দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। তাঁর কিছু স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে খেলা ৭১।

  • ১১৯* (বিপক্ষ ইংল্যান্ড; ওল্ড ট্রাফোর্ড,১৯৯০)

এটা শচীনের ক্যারিয়ারের শুরুর দিককার সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরি করার আগ পর্যন্ত সবাই তাঁর প্রতিভা সম্পর্কে জানতো কিন্তু তাঁর প্রতিভার বিস্ফোরণ তখনও ঘটেনি।

এই সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অস্ত্বিত্বের জানান দেন তিনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর একে একে করেছেন আরো ৯৯ টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।

শচীনের এই সেঞ্চুরিটি এসেছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ন এক সময়ে। ভারতীয় দল দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ পিছিয়ে ছিলো। এই সময় ৬ নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের সাথে নিয়ে অপরাজিত ১১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এর ফলে ভারত ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয়। যদিও প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে ছিলো ভারত। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টেস্ট ড্র করে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে ভারত।

  • ১১৪ (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, পার্থ, ১৯৯২)

১৯৯২ সালের এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ছিলো ভারতের জন্য বেশ খারাপ একটি সফর। এই সফরে পাঁচ টেস্টের মধ্যে চার টেস্টেই হেরেছিলো ভারত। এছাড়াও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে হওয়া ত্রি-দেশীয় সিরিজেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত।

এই টেস্ট সিরিজে দুইটি সেঞ্চুরি করেন শচীন টেন্ডুলকার। প্রথমটি ছিলো সিডনিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্ট এবং আরেকটি ছিলো পার্থে অনুষ্ঠিত পঞ্চম এবং শেষ টেস্টে। পার্থে অনুষ্ঠিত টেস্ট প্রায় জিতেই গিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। শচীনের দূর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচ বাচায় ভারত। তিনি ওয়াকার বাউন্সি পিচে ক্রেইগ ম্যাকডরম্যাট, মার্ক হিউজ এবং মাইক হুইটনিকে সামলে ১৬১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

  • ১৫৫* (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, চেন্নাই, ১৯৯৮)

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের এই সিরিজ মূলত চিহ্নিত হয়েছিলো শচীন টেন্ডুলকার এবং শেন ওয়ার্নের মধ্যকার লড়াই হিসেবে। কারণ এই সময়ে দুই কিংবদন্তিই ছিলেন তাঁদের ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। এই সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মত ভারতে টেস্ট খেলতে আসেন শেন ওয়ার্ন। তিনি এই স্পিন বান্ধব উইকেটে নিজেকে আরো ভালো ভাবে প্রমান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ক্রমশই কঠিন হয়ে উঠেছিলো শচীন টেন্ডুলকারের জন্য। পরে এই কিংবদন্তি লেগ স্পিনার স্বীকার করেছেন শচীনকে বল করা কঠিনতম একটি কাজ।

ঘটনাক্রমে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওয়ার্নের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন শচীন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে প্রত্যেকটি বল বেশ ভালোভাবে মোকাবিলা করেন। ফলস্বরুপ দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর সেঞ্চুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বিশাল লক্ষ্য দাঁড়ায়। ফলে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। প্রথম দুই টেস্ট হারার পর সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টেস্টে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

  • ১৩৪ (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, শারজাহ, ১৯৯৮)

শারজাহতে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। শচীন টেন্ডুলকারের ১৪৩ রানের ইনিংসের ম্যাচ ছিলো সিরিজের ৬ষ্ঠ টাই ম্যাচ ছিলো। এর ফলে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত। ফাইনালে মরুর বুকে ঝড় তুলে ১৩১ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে একজন ব্যাটসম্যান একা হাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে আনে।

এই ম্যাচে ২৭৩ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নামে ভারত। এই সময়ে ২৭৩ রানের লক্ষ্য ছিলো বিশাল লক্ষ্য। ফাইনালের দিন ছিলো শচীন টেন্ডুলকারের জন্মদিন। এই দিনে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সাথে মিলে নিজেকে অন্যতম সেরা উপহার দেন তিনি।

এই ম্যাচের পর ম্যান অফ দ্য সিরিজের পুরষ্কার হিসেবে একটি গাড়ি পান শচীন টেন্ডুলকার। এই ম্যাচ শেষে ভারতীয় দলের সবাই ওই গাড়িতে উঠে বসে যা ভারততীয় ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য একটি সাম্প্রতিক সময়ের স্মৃতি বলে মনে হবে।

  • ১৩৬ (বিপক্ষ পাকিস্তান, চেন্নাই, ১৯৯৯)

এটা ছিলো চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা পূর্ন একটি টেস্ট সিরিজ। দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছিলো ১-১ সমতায়।

যদিও স্বাগতিক ভারত প্রথম ইনিংসের ১২ রানে পিছিয়ে ছিলো। ম্যাচের শেষ ইনিংসে শচীনের ধৈর্য্যশীল ইনিংসে কারণে ভালো ভাবেই সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে নেয় ভারত।

২৭১ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নামে ভারত। এই সময়ে অনেক দ্রুতই উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। একমাত্র নয়ন মঙ্গিয়া ছাড়া কেউ শচীন টেন্ডুলকারকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। যখন ভারত ৮২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তখন মাঠে আসেন শচীন টেন্ডুলকার। শেষ পর্যন্ত সাকলাইন মুশতাকের বলে আউট হবার আগেই ভারতকে জয়ের বন্দরের কাছে ভিড়িয়ে রেখেছিলেন।

  • ৯৮ (বিপক্ষ পাকিস্তান, সেঞ্চুরিয়ন, ২০০৩)

এটি ছিলো  বিশ্বকাপের লড়াই। এখানে মূলত লড়াই হয়েছিলো শচীন, শেবাগ, সৌরভ, দ্রাবিড়দের নিয়ে গড়া ব্যাটিং অর্ডারের সাথে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস এবং শোয়েব আক্তারদের নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমণে। সুপার সিক্সে উঠার জন্য এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিলো না ভারতের সামনে।

এই ম্যাচে পাকিস্তানী ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৭৩ রানের সংগ্রহ পান তিনি। এই বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন শচীন টেন্ডুলকার। এই ম্যাচে শোয়েব আক্তারের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান তিনি।

সেঞ্চুরি থেকে মাত্র দুই রান দূরে থামেন শচীন টেন্ডুলকার। ৭৫ বলে ৯৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তাঁর এই বিধ্বংসী ইনিংসের কারণে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সহজেই ভারতকে ম্যাচ জেতাতে পেরেছে।

  • ২৪১* (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ২০০৪)

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারতের জন্য সেরা একটি সিরিজ ছিলো এটি। এই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ড্র হয়েছিলো ১-১ সমতায়। এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে বড় কোনো রানই করতে পারেন নি। কিন্তু শেষ টেস্টে ব্যাটিংয়ে কোনো ধরনের রিস্ক না নিয়েই ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান শচীন টেন্ডুলকার। আর তাঁর দ্বি-শতকে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৭০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাড় করায় ভারত।

এই সিরিজে শচীনের সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছিলো অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে স্ট্রোক খেলতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়া। এর ফলে আউট সুইংয়ে বেশি আউট হচ্ছিলেন তিনি। চতুর্থ টেস্টে এসে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দিতে শুরু করেন তিনি। যদি তিনি অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতেন তবে সেটা এমনভাবে স্ট্রোক প্লের মাধ্যমে লেগ সাইডে খেলতেন যাতে বল মাটি ঘেষে যায়। এর ফলে ভারত টেস্ট ম্যাচ ড্র করেন। এই টেস্ট ড্র করা সম্ভব হয়েছে শচীনের দৃঢ় প্রত্যয় এবং নতুন আবিষ্কারের ফলে।

  • ১১৭* (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ২০০৮)

সিডনিতে সিবি সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে সিবি সিরিজের প্রথম ফাইনালে জয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি।

এই ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকার শুধু সেঞ্চুরি করেননি, সাথে তিনি রবিন উথাপ্পা, গৌতম গম্ভীর এবং রোহিত শর্মার মত ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে ২৪০ রানের লক্ষ্য অতি সহজেই পাড়ি দেন। আর সিবি সিরিজের প্রথম ফাইনাল জিতে নেয় ভারত।

শচীন টেন্ডুলকার দ্বিতীয় ফাইনালেও ৯১ রানের একটি ইনিংস খেলেন। এই ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে দ্বিতীয় ফাইনালও জিতে নেয় ভারত। তিন লেগের ফাইনালে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শিরোপা নিজের করে নেয় ভারত।

  • ১৭৫ (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, হায়দ্রাবাদ, ২০০৯)

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে ১৭৫ রানের এই ইনিংস খেলেন তিনি। এই ম্যাচে ৩৫১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামে ভারত। শচীন যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো ভারতের সামনে লক্ষ্য হলো ২৭০ রানের।

এই ম্যাচে শচীনে পাশাপাশি বীরেন্দ্র শেবাগ এবং সুরেশ রায়না কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যান নিজেদের সামর্থ্যে সিকিভাগ দিয়েও খেলতে পারেননি। ভারত যখন প্রায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন শর্ট ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে চিকি শট করতে গিয়ে নাথান হারিজের হাতে ধরা পড়েন শচীন। শচীন আউট হবার পর নিচের দিককার ব্যাটসম্যানরা আর রান করতে পারেননি। ফলে মাত্র ৩ রানে ব্যবধানে ম্যাচ হেরে বসে ভারত।

  • ২০০* (বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, গোয়ালিওর, ২০১০)

এই ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকার এমন একটি ইনিংস খেলেছেন যা আগে কেউ কখনো ভাবেনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিশতক হবে এটা ছিলো কল্পনায়। সেই কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করেছেন শচীন টেন্ডুলকার।

গোয়ালিওরের ক্যাপ্টেন রুপ সিং স্টেডিয়ামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের উপর কোনো দয়া করেননি তিনি।

গোয়ালিওরে যখন শচীন ১৯৯ রানে নন স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন তখন সবাই বেশ চিন্তিত অবস্থায় ছিলো। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে মহেন্দ্র সিং ধোনি এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইক দেন শচীনকে। তিনি তৃতীয় বলকে পয়েন্ট অঞ্চলে পাঠিয়ে একটি এক রান নিয়ে ওয়ানডেতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিশতক করেন।

  • ১২০ (বিপক্ষ ইংল্যান্ড, ব্যাঙ্গালুরু,২০১১)

২০০৩ বিশ্বকাপের মত ২০১১ বিশ্বকাপেও দূর্দান্ত ফর্মে ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ২৮ বছর পর ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাতে দূর্দান্ত পারফর্ম করছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ ভালোই শুরু করেছিলেন শচীন এবং শেবাগ। শুরুতেই রান আউটের শিকার হন তিনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ দূর্দান্ত ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।

নিজের ক্লাসিক্যাল ব্যাটিংকে মারকুটে ভাবে নিয়ে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। তাঁর খেলার মাঝপথে কখনো মনে হয়নি তিনি আউট হয়ে যাবেন। বিপক্ষ বোলারদেরকে ১০ টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মেরে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

শচীনের সেঞ্চুরিতে ভর করে স্কোর বোর্ডে ৩৩৮ রান যোগ করে ভারত। কিন্তু ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ফলাফল ম্যাচ টাই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...