প্রিয় ১০ ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার

ধারাভাষ্য এখন লাইভ ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটা ম্যাচের আমেজটাই পাল্টে দিতে পারেন দারুণ সব ধারাভাষ্যকার। আর বাইশ গজের চেয়ে এই কাজটা খুব সহজ মনে করার কোনো কারণ নেই।

টিভিতে ক্রিকেট দেখার পাশাপাশি ধারাভাষ্য শোনার মজাই আলাদা। রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচের আমেজ বহুগুণেই বাড়িয়ে দিতে পারেন ধারাভাষ্যকাররা। ছোটবেলা থেকে আজ অবধি অনেক লিজেন্ডারি ধারাভাষ্যকারের কমেন্ট্রি শোনা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে পছন্দের ১০ জনকে বাছাই করলাম।

  • টনি গ্রেগ

অত্যন্ত জনপ্রিয়, ডাকসাইটে একজন ধারাভাষ্যকার। উনার আইকনিক ভয়েস, স্কটিশ অ্যাকসেন্ট আর কথা বলার ধরনটাই এমন যে বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। কেবল টনি গ্রেগের ধারাভাষ্য শুনতে আমি সারারাতও জাগতে পারি। খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টিংয়ে উনি আমার দেখা সেরা।

  • রিচি বেনো

দ্য ভয়েস অব ক্রিকেট। আ জায়ান্ট বিহাইন্ড দ্য মাইক্রোফোন। উনাকে ছাড়া আসলে কমেন্টেটরদের যেকোন শর্টলিস্ট অপূর্ণ থেকে যায়। ক্রিকেট খেলাকে যদি গানের সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে বেনো একজন গীতিকার।

  • মাইকেল হোল্ডিং

ধারাবিবরণীর পাশাপাশি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসও কিন্তু একজন কমেন্টেটরের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর এই কাজে মাইকেল হোল্ডিংয়ের সমকক্ষ কাউকেই দেখি না। কখনও প্রয়োজনের অধিক সমালোচনা, আবার প্রশংসার বেলায় কার্পণ্য করছেন মনে হলেও হোল্ডিংকে ভাল না লেগে উপায় নেই।

  • অ্যালান উইলকিন্স

ইম্প্রেসিভ ভয়েস, আকর্ষণীয় উপস্থাপনা, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি, সেন্স অব হিউমার, এবং তথ্যবহুল কমেন্ট্রির কারণে ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ পছন্দ করি উনাকে।

  • ইয়ান বিশপ

অত্যন্ত সেন্সিবল একজন কমেন্টেটর। কমেন্ট্রি বক্সে বিশপের কুল, কাম প্রেজেন্সটাই সবথেকে ভাল লাগে। হাই ড্রামা সিচুয়েশনেও মাথা ঠাণ্ডা রাখতে জানেন, কখনও ওভারএক্সাইটেড হতে দেখা যায় না। ক্যারিবীয় একসেন্টটাও চমৎকার, এনালাইসিস বেশ উঁচুমানের।

  • মার্ক নিকোলাস

আমার দেখা সেরা ক্রিকেট অ্যাঙ্কর। একজন অনবদ্য ভয়েস আর্টিস্ট, দক্ষ ন্যারেটর, কমেন্ট্রি স্টাইল অত্যন্ত গোছানো, পরিশীলিত।

  • ইয়ান স্মিথ

বছর কয়েক আগে হলেও এই ভদ্রলোকটি হয়ত আমার লিস্টে আসতেন না। তবে গত বেশ কিছুদিন ধরে উনাকে যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। অত্যন্ত প্রাণোচ্ছ্বল, হাসিখুশি, রিফ্রেশিং একজন ক্যারেক্টার, উনার কমেন্ট্রি শুনে আপনি কখনোই বোরড ফিল করবেন না। ২০১৯ বিশ্বকাপে জাস্ট ‘ফাটিয়ে’ দিয়েছেন।

  • হার্শা ভোগলে

দ্য ভয়েস অব ইন্ডিয়ান ক্রিকেট। একজন স্বতঃস্ফূর্ত বক্তা। হার্শার উইটি ডায়ালগ আর গল্প বলার ছলে ধারাভাষ্য দেয়ার স্টাইলটা বেশ ভাল্লাগে। তবে হার্শার কমেন্ট্রির চাইতে উপস্থাপনা আর ইন্টারভিউ টেকিং বেশি পছন্দের।

  • ডেভিড ‘বাম্বল’ লয়েড

ওয়ান অব দ্য মোস্ট রিকগনাইজড ভয়েস ইন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর বর্ষীয়ান এই কমেন্টেটরের এক্সাইটিং স্টাইলটা মডার্ন ক্রিকেটের সাথে বেশ মানিয়ে যায়।

  • পমি এমবাঙ্গুয়া

অনেকেই হয়ত পছন্দের তালিকায় পমিকে রাখবে না। একজন দক্ষ ভয়েস আর্টিস্ট, হিউমারাস ক্যারেক্টার, আফ্রিকান একসেন্টের কারণে শুনতে বেশ ভাল্লাগে। ক্রিকেটের ইনটেন্স মোমেন্টগুলোকে আরও নাটকীয়, প্রাণবন্ত আর এক্সাইটিং করে তুলতে পমির জুড়ি নেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...