গতিময় ঝড়ের দানব

এমন অনেকে আছেন, যারা স্রেফ গতির ঝড় তুলেই ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছেন। আমাদের এবারের আয়োজনটা সেইসব গতিশীল পেসারদের নিয়ে। তালিকায় অস্ট্রেলিয়ানদের দাপটটা একটু বেশিই।

ক্রিকেট নাকি ব্যাটসম্যানদের খেলা, রানের খেলা। একদম ইতিহাসের শুরু থেকেই বাইশ গজে রাজত্ব করেছেন নামকরা সব ব্যাটসম্যানরা। তবে, ক্রিকেটে এমন কিছু পেস বোলারের জন্ম হয়েছে যারা গতি দিয়ে ত্রাশ সৃষ্টি করেছেন। ব্যাটসম্যানদের রানের লাগামই কেবল তাঁরা টেনে ধরেননি, কখনো কখনো তাদের রাতের ঘুম হারাম করেছেন।

এমন অনেকে আছেন, যারা স্রেফ গতির ঝড় তুলেই ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছেন। আমাদের এবারের আয়োজনটা সেইসব গতিশীল পেসারদের নিয়ে। তালিকায় অস্ট্রেলিয়ানদের দাপটটা একটু বেশিই।

  • শোয়েব আখতার (পাকিস্তান)

উপমহাদেশীয় উইকেটের অন্যতম সেরা পেসার বলা হয় রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব আখতারকে। আর তিনি কোনো সন্দেহ ছাড়াই ইতিহাসের সবচেয়ে গতিশীল বোলার। তিনি ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতির একটি ডেলিভারি করেন, যেটা খোদ ক্রিকেট ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ গতির বল।

তিনি ইতিহাসের একমাত্র বোলার যিনি দু’বার শত মাইলের বাঁধা টপকেছেন। ওয়ানডেতে ১৭৮ ও টেস্টে ২৪৭ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবুও তিনি সামর্থ্যের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি।

  • শন টেইট (অস্ট্রেলিয়া)

ইনজুরির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি লম্বা সময় টিকে থাকতে পারেননি। তবে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে গতিশীল ফাস্ট বোলার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই শন টেইট ১৬১.১ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতির বল করেছিলেন। খুব আলোচিত ছিলেন ওই সময়। ২০০৭ বিশ্বকাপে একাই নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট। তবে, দ্রুতই হারিয়ে যান।

  • ব্রেট লি (অস্ট্রেলিয়া)

‘বিঙ্গা’ ডাক নামের ব্রেট লি অস্ট্রেলিয়ার আধুনিক যুগের সেরা বোলারদের একজন। তিনি শোয়েব আখতারের পর দ্বিতীয় বোলার যিনি ১০০ মাইলের বাঁধা পেড়িয়েছেন। ক্যারিয়ার শেষ করেন ওয়ানডেতে ২৮০, টেস্টে ৩১০ ও প্রথম শ্রেণিতে ৪৮৭ টি উইকেট নিয়ে।

গ্লেন ম্যাকগ্রার সাথে দারুণ জমে যায় তাঁর জুটি। অস্ট্রেলিয়ার দু’টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখা ব্রেট লি ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটা বল করেছিলেন যার গতি ছিল ১৬১.১ কিলোমিটার/ঘণ্টা।

  • জেফ থম্পসন (অস্ট্রেলিয়া)

তিনি ফাস্ট বোলিংয়ের প্রবাদপুরুষ। তিনি নিজের সময়ের সবচেয়ে গতিশীল বোলার। ডেনিস লিলির সাথে মিলে দুর্ধর্ষ এক পেস লাইন আপ তৈরি করেছিলেন। তাঁদেরকে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসেরই অন্যতম ভয়ংকর পেস বোলিং জুটি বলা হয়ে থাকে। লম্বা সময় ধরে থম্পসন বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল বোলার ছিলেন। ১৯৭৫ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি ১৬০.৬ কিলোমিটার/ঘণ্টা বেগে একটা ডেলিভারি করেন। থম্পসনের সেই রেকর্ড ২০০৩ সাল অবধি টিকেছিল।

থম্পসন তাঁর ১৩ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ২০০ টি উইকেট নেন। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নেন ৬৭৫ টি উইকেট। ২০১৬ সালে তাঁর নাম ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) হল অব ফেমে যুক্ত হয়।

  • মিশেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)

স্টার্ক একালের গতি তারকা। যথারীতি ওপরের তিনজনের মত তিনিও অস্ট্রেলিয়ান। তিনি ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন।

ওই বছরই তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে ১৬০.৪ গতির একটা ডেলিভারি করেন। সেটা টেস্টের ইতিহাসে এখন অবধি সবচেয়ে দ্রুতগতির বল। সাদা পোশাকে এর আগে কেউই এটা করে দেখাতে পারেনি। এটাই মিশেল স্টার্ককে আলাদা করেছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...