সেই আগের মতোই উজ্জ্বল রফিক

শেখার কোনো শেষ নাই। তো যারা পরবর্তী প্রজন্ম আছে, তারাও এখানে একটু ফলো করলে, এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমি এখনও মাঠে আছি, আলহামদুলিল্লাহ্‌! আল্লাহ্‌ আমাকে সুস্থ রাখছেন। যারা আমার দর্শক, দেশপ্রেমিক আছেন, ক্রিকেট পছন্দ করেন, তারা সবসময়ই আমাকে পছন্দ করেন।

ঝড়ো ব্যাটিং আর স্পিন ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষকে  ঘায়েল করেছেন অনেক বার। তিনি খেলা ছাড়ার পর দেশের ক্রিকেটে পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু। তবে পরিবর্তন হয়নি তার-একজন মোহাম্মাদ রফিক। খেলা ছাড়ার এতো দিন পরেও ব্যাট ও বল হাতে দেখা মিলেছে আগের রফিকেরই।

বাংলাদেশের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দিনেই (টেন ডট টেন) ব্যাট ও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন এই অলরাউন্ডার। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম দিনের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৩ বলে ৩ ছয়ের সাহায্যে ২২ রান করেন রফিক। এছাড়া বল হাতে ২২ বলে ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৪ টি চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্যে ২৯ রান করেন রফিক। এমন পারফর্মের পর ম্যাচ শেষে রফিক জানিয়েছেন সবার সম্পর্কে ভালো জানা শোনা থাকার কারণেই সফল হয়েছেন তিনি।

রফিক বলেন, ‘রহস্যের কিছু নাই। এখানের সবার সাথে খেলছি। তাই জানি কার কী উইক পয়েন্ট। আমি কী করি ওরা জানে, ওরা কী করে আমি জানি। সুতরাং প্রতিবছর এখানে যে একটা মিলনমেলা প্রতিবছর হয়, সেটাই কিন্তু বড় পাওনা।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ১০০ উইকেট শিকার করা রফিক এখনো শিখছেন। নতুন প্রজন্মের প্রতিও রফিক আহবান করেছেন এখান থেকে শেখার জন্য। রফিক জানিয়েছেন তিনি সব সময় মাঠেই থাকতে চান; ক্রিকেটের সাথেই থাকতে চান।

তিনি বলেন, ‘শেখার কোনো শেষ নাই। তো যারা পরবর্তী প্রজন্ম আছে, তারাও এখানে একটু ফলো করলে, এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমি এখনও মাঠে আছি, আলহামদুলিল্লাহ্‌! আল্লাহ্‌ আমাকে সুস্থ রাখছেন। যারা আমার দর্শক, দেশপ্রেমিক আছেন, ক্রিকেট পছন্দ করেন, তারা সবসময়ই আমাকে পছন্দ করেন। আমি ইনশাআল্লাহ্‌ চাই, সবসময় মাঠে থাকার।’

রফিকের অলরাউন্ডার পারফর্মে নিজেদের দুই ম্যাচেই জয় পেয়ে একমি স্টাইকার্স। প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জেমকন টাইটান্স বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১১২ রান করে সংগ্রহ করে একমি স্টাইকার্স।  সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে মাহবুবুল আলম রবিনের ব্যাট থেকে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মুশফিকুর রহমান বাবু। টাইটান্সের পক্ষে ২ টি করে উইকেট নেন আশিক মজুমদার ও হান্নান সরকার। ১১৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে জাভেদ ওমর বেলিমের ৪৯ রানে ভর করে ৯৫ রান করে টাইটান্স।

একই সময়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে জাদুবে স্টার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বৈশাখী বেঙ্গললস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন টেংকু। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে এক্সপো রাইডার্সকে ১৩ রানে হারিয়েছে নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্স। এবং দিনের চতুর্থ ম্যাচে বৈশাখী বেঙ্গললসকে ৩৮ রানে হারিয়েছে একমি স্টাইকার্স।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...