আইসিএল-আইপিএল, তাঁদের বিচরণ সর্বত্র

আইপিএলের বাণিজ্যিকীকরণের জন্য আইসিএল খেলা সকল ক্রিকেটারকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শুধু বিসিসিআই নয়, সব ক্রিকেট বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, ক্রিকেটারদের নিষেধাজ্ঞায় স্থির থাকতে পারেনি ক্রিকেট বোর্ডগুলো। পরবর্তীতে সব ক্রিকেট বোর্ডই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলো ক্রিকেটারদের উপর থেকে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার পর তো আবার অনেক ক্রিকেটার আইপিএলেও খেলেছেন

আজকের যুগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) খুব কদর। বলা হচ্ছে, এটাই বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যদিও, আইপিএলের ধারণা এসেছে নিষিদ্ধ ক্রিকেট আসর ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইসিএল) থেকে।

আইসিএল অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বোর্ড অফ ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। পরবর্তীতে বিসিসিআই একই রকম একটি টুর্নামেন্ট নিয়ে আসে, আর তা হল আইপিএল।

আইপিএলের বাণিজ্যিকীকরণের জন্য আইসিএল খেলা সকল ক্রিকেটারকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শুধু বিসিসিআই নয়, সব ক্রিকেট বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু ক্রিকেটারদের নিষেধাজ্ঞায় স্থির থাকতে পারেনি ক্রিকেট বোর্ডগুলো। পরবর্তীতে সব ক্রিকেট বোর্ডই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলো ক্রিকেটারদের উপর থেকে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার পর তো আবার অনেক ক্রিকেটার আইপিএলেও খেলেছেন। আইসিএল খেলে আইপিএল খেলেছেন এমন কিছু বিদেশি ক্রিকেটারদের কথাই তুলে ধরা হচ্ছে আজকে।

  • আজহার মাহমুদ (পাকিস্তান)

আইসিএল এবং আইপিএলে খেলেছেন এমন অলসংখ্যক ক্রিকেটারের মধ্যে একজন হলেন আজহার মাহমুদ। পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা এই ক্রিকেটার আইপিএলে খেলেছেন বৃটিশ পাসপোর্ট পাবার পর।

বৃটিশ পাসপোর্ট থাকার কারণে ২০০৮ সালের পর একমাত্র পাকিস্তানী ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে খেলেছেন আজহার মাহমুদ। আইপিএলের তিন আসরে খেলেছেন তিনি। এই তিন আসরে তিনি খেলেছেন মোট ২৩ ম্যাচে। আইপিএল ক্যারিয়ারের তিনি ব্যাটহাতে করেছেন ৩৮৮ রান এবং বল হাতে শিকার করেছেন ২৯ উইকেট।

  • ইয়োহান ভ্যান ডার ওয়াথ (দক্ষিণ আফ্রিকা)

জোহান ভ্যান ডার ওয়াথ আইসিএলে খেলেছিলেন মুম্বাই চ্যাম্পসের হয়ে। দুই মৌসুম আইসিএলে খেলার পর মুম্বাই চ্যাম্পসের সাথে চুক্তি বাতিল করেন তিনি। আইসিএলে তিনি খেলেছিলেন ২৩ ম্যাচ।

ভ্যান ডার ওয়াথ আইপিএলে খেলেছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ২০১১ মৌসুমে। এই মৌসুমে তিনি ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন ৩ ম্যাচ। এই তিন ম্যাচে বল হাতে শিকার করেছিলেন ৩ উইকেট এবং ব্যাট হাতে করেছেন ১৮ রান।

আইপিএলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি সাফল্য নেই তাঁর ক্যারিয়ারে। তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন ১০ ম্যাচ। ১০ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন ৮৯ রান এবং শিকার করেছেন ১৩ উইকেট।

  • শেন বন্ড (নিউজিল্যান্ড)

নিঃসন্দেহে এই তালিকার সবচেয়ে বড় নাম হল শেন বন্ড। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার ছিলেন তিনি। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আইসিএলে এসেছিলেন তিনি। আইসিএলে খেলার কারণে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। পরবর্তীতে তাঁর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এবং জাতীয় দলে খেলেন।

২০১১ সালের আইপিএলের নিলামে উঠে শেন বন্ডের নাম। এই নিলাম থেকে তাঁকে দলে ভেড়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কলকাতার হয়ে এক মৌসুম খেলেন। এই মৌসুমে কলকাতার হয়ে ৮ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেন তিনি। এখন আইপিএলে জড়িত আছেন তিনি। আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই কিউই বোলার।

  • জাস্টিন কেম্প (দক্ষিণ আফ্রিকা)

এই তালিকার আরেকটি বড় নাম হলো জাস্টিন কেম্প। তিনি ছিলেন মূলত মারকুটে ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি বেশ ভালো বোলিং করতে পারতেন।

জাস্টীন কেম্প দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন ৮৫ ওয়ানডে এবং ৪ টেস্ট। এরপর কলপ্যাক চুক্তিতে চলে যান কাউন্টি ক্রিকেটে। এর পর আর জাতীয় দলে ফেরেননি তিনি।

কলপ্যাক চুক্তিতে খেলার সময়েই নাম লেখান আইসিএলে। নিষিদ্ধ এই লিগে খেলার পরও কলপ্যাক চুক্তিতে খেলতে পেরেছেন তিনি। এই প্রোটিয়া আইপিএলে আসেন ২০১০ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের ডেরায়। চেন্নাইয়ের হয়ে ৫ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৬ রান এবং বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করেছেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...