‘আমাদের মনটা খারাপ’

একটা খেলোয়াড়দের পেছনে তো বোর্ড কম ইনভেস্ট করে না। বোর্ড ১০-১৫টা বছর যে ইনভস্টমেন্ট করে সেটা আপনাদের সবার জানা আছে কি না আমি জানি না। সব কিছু মিলিয়ে এখনকার ক্রিকেটারদের যে ধরণের সুবিধা দেওয়া হয় সেটা তো অতীতে চিন্তাও করা যেত না।

আইপিএলের ১৪তম আসরে সাকিব আল হাসানকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দল পাওয়ার পরই আইপিএল খেলার জন্য শ্রীলংকা সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। আজ বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন সাকিব ইস্যুতে ব্রিবত না হলেও মন খারাপ তাদের।

সাকিব ছুটি চাওয়ার পরই তা মঞ্জুর করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ কাউকে জোড় করে খেলাতে চায়না বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। তাই বিসিবি সভাপতি অনেকটা হতাশা নিয়েই জানিয়েছেন একটা ক্রিকেটারকে ১০-১৫ বছর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পর তাদের কাছে থেকে এরকম কিছু প্রত্যাশা করেন না তাঁরা।

পাপন বলেন, ‘এখানে বিব্রত ঠিক না, মন খারাপ। আমাকে যদি বলেন, মন খারাপ। আমাদের মনটা খারাপ। কেনো? একটা খেলোয়াড়দের পেছনে তো বোর্ড কম ইনভেস্ট করে না। বোর্ড ১০-১৫টা বছর যে ইনভস্টমেন্ট করে সেটা আপনাদের সবার জানা আছে কি না আমি জানি না। সব কিছু মিলিয়ে এখনকার ক্রিকেটারদের যে ধরণের সুবিধা দেওয়া হয় সেটা তো অতীতে চিন্তাও করা যেত না।’

পাপন মনে করেন বোর্ডের সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যখন দেশের জন্য কিছু করার কথা তখনই ব্যাক্তিগত স্বার্থের পিছনে ছুটছেন ক্রিকেটাররা। পাপন জানিয়েছেন এখন থেকে সবার পিছনে আর সময় নষ্ট করতে চায়না বিসিবি। বরং যারা লিখিত দেবে তাদের নিয়েই ভাববে বোর্ড।

তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস একটা খেয়াল রাখবেন দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আজকের যারা ওয়ার্ল্ডের বেষ্ট ক্রিকেটার তাদের প্রথম ছয় বছরের গড় দেখেন! আমরা তো তখন বাদ দেইনি। তারপরেও আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি, সময় দিয়েছি, তারা আজকে এই জায়গায় এসেছে। যে সময়টায় তারা দেশের জন্য কিছু করবে; এটা অবশ্য তাদের ইচ্ছে। বিশেষ করে আমরা টেস্টে জোর করে খেলাতে চাই না। আমরা আর সময় নষ্ট করতে চাই না। লিখিত দিতে হবে কে কোন ফরম্যাট খেলতে চায়।’

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লজ্বাজনক পরাজয়ের পর ভারত ও পাকিস্তানের মাটিতে বাজে ভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। মাঝে জিম্বাবুয়ের সাথে এক ম্যাচ জিতলেও সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের কাছে হোয়াটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তাই এরকম একটা সময়ে সাকিব ছুটি চাওয়ার পর অবাক হয়েছেন বোর্ড সভাপতি; জানিয়েছেন কিছুই করার ছিলো না তাদের।

তিনি বলেন, ‘সে জায়গায় দল দুটা টেস্ট ম্যাচ হারের পর… শুধু এই সিরিজ না, আমরা হেরেছি আফগানিস্তানের সাথে, আমরা হেরেছি পাকিস্তানের সাথে, আমরা ভারতের সাথে বাজেভাবে হেরেছি এবং ঘরের মাঠে দুটো টেস্ট হারলাম। এরপরে কেউ যদি বলে আমি টেস্ট খেলব না ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলব, তাহলে এরপরে আর কিছু বলার থাকে না। আমাদের মাইন্ড ক্লিয়ার, কাউকে আমরা জোর করে রাখব না।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...