‘আমি পাল্টা ঘুষির অপেক্ষায় ছিলাম’

যদি আমি বক্সার হতাম, দেখতে চাইতাম তারা কত ঘুষি মারতে পারে। যখন তাঁদের ঘুষি মারা শেষ হত, আমি তাদেরকে পাল্টা ঘুষি মারা শুরু করতাম। এটাই আমার পরিকল্পনা। আমাকে যত পারেন ঘুষি মারেন।তারপর আমি ঘুষি মারা শুরু করবো। এই ভাবেই আমি পরিকল্পনা করি।

ব্রিসবেনে চেতেশ্বর পুজারার লড়াই ছিল ঐতিহাসিক। একের পর এক বলে আহত হয়েছেন, ক্ষত বিক্ষত হয়েছেন; কিন্তু হাল ছাড়েননি। ক্রিকেট বিষয়ক ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া দুই পর্বের সাক্ষাৎকারে বলেছেন নিজের সেই প্রানান্ত লড়াইয়ের কথা। বলেছেন আঘাত সহ্য করার কথা।

আপনি কি বক্সিং পছন্দ করেন?

(হাসি)। ঠিক করি না। আমি বক্সিংয়ের সমর্থক না। কিন্তু বক্সিং দেখতে খারাপ লাগে না। একবার কিছু বক্সারের গল্প দেখেছি। তারা কিভাবে কত কষ্ট করে বক্সিংয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য।

গ্যাবা টেস্টের শেষ দিনে,অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা আপনার সাথে পাঞ্চিং ব্যাগের মত আচরণ করেছিলো।

যদি আমি বক্সার হতাম, দেখতে চাইতাম তারা কত ঘুষি মারতে পারে। যখন তাদের ঘুষি মারা শেষ হত, আমি তাদেরকে পাল্টা ঘুষি মারা শুরু করতাম। এটাই আমার পরিকল্পনা। আমাকে যত পারেন ঘুষি মারেন।তারপর আমি ঘুষি মারা শুরু করবো। এই ভাবেই আমি পরিকল্পনা করি।

আমরা প্রায় সময়ই বলি, কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মিলে না। আপনি যে ব্যাথার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন সেটা আমাদেরকে জানান।

প্রথম বাউন্সারটি ঠিক আমার কাধের নিচে এসে লাগে। আরেকটি এসে লাগে আমার পাঁজড়ে। আর হ্যাজলেউডের কাছ থেকে আসা আরেকটি বাউন্সার আবার আমার কাঁধের নিচে আঘাত করে। এই সময়ে আমার একই জায়গায় ব্যাথা লাগায় আমার অনেক লেগেছিলো।

হেলমেটের উপর দিয়ে যাওয়া বাউন্সারগুলো অনেক ভীতিকর ছিলো। কিন্তু আমার হেলমেট থাকায় সেগুলো বড় কোনো আঘাত ছিলো না। আপনি কিছু ব্যাথা পাওয়া শুরু করবেন কিন্তু সেগুলো বেশি বেদনাদায়ক নয়।

সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক ছিলো যে বল আমার আঙ্গুলে আঘাত করে। কারণ আমি ইতিমধ্যে  মেলবোর্ণ টেস্টের আগে অনুশীলন করার সময় আঘাত পেয়েছিলাম। আর ব্যাথা নিয়েই আমি সিডনি টেস্টে খেলেছিলাম। আর পরিস্থিতি ভালোই ছিলো। কিন্তু যে মুহুর্তে আমি আবার ব্রিসবেনে একই জায়গায় ব্যাথা পাই, এটি খুব বেশি বেদনাদায়ক ছিলো। আমি ভেবেছিলাম আমি আমার আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলেছি।

মেলবোর্ণে আসলে কী ঘটেছিলো?

আমাকে নেট থেকে বের হয়ে আসতে হয়েছিলো। নখের পাশ থেকে চামড়া উঠে গিয়েছিলো এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। মেলবোর্ণের মত আমি আবার যখন একই অনামিকা আঙ্গুলে ব্যাথা  পাই, তখন হাড়ে বেশি ব্যাথা অনুভব হচ্ছিল। সিডনি টেস্টে চামড়ার ক্ষত আমার জন্য বিরক্তিকর ছিলো। যার প্রভাব হাড়ের মধ্যে পড়েছিলো। চতুর্থ টেস্টের সময়ে ক্ষত শুকিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু হাড়ে সামান্য ব্যাথা ছিলো। আর সেখানেই আমি আবারো ব্যথা পেয়েছি।

আমি ঠিকমত ব্যাট ধরতে পারছিলাম না। আর আমি যেভাবে চাচ্ছিলাম সেভাবে ব্যাটও করতে পারতেছিলাম না। আমার চার আঙ্গুলে ব্যাট ধরতে হচ্ছিলো। আর অনামিকা আঙ্গুল ব্যাটের হাতলের পিছনে রাখতে হচ্ছিলো।

যখন আপনি পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে যাচ্ছিলেন, তখন পর্যন্ত সিরিজে আপনি ৭১৭ বল খেলে ফেলেছিলেন এবং ২১৫ রান করেছিলেন। পরিষ্কার ভাবে,আপনি কী আপনার কাজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?

হ্যাঁ। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। জানতাম আমরা যদি সারাদিন ব্যাটিং করতে পারি তাহলে আমরা সন্দেহাতীত ভাবে রান তাড়া করতে পারবো। ম্যাচ ড্র হবারও সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু এ ধরনের পিচের জন্য আমি প্রচুর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। যদি আমরা ৯৭ ওভার ব্যাটিং করতে পারি, তাহলে আমরা জিতবো। আমি জানতাম আমরা যদি প্রথম সেশনে উইকেট না হারাই, তাহলে যে দল ম্যাচ জিততে পারবে সেটা একমাত্র ভারত। দিনের বেশিরভাগ বল হয় প্রথম সেশনে। আর প্রথম সেশন হয় প্রায় আড়াউ ঘন্টা। যেখানে আপনাকে প্রায় ৩৫ ওভার ব্যাট করতে হয়। তাই পরিকল্পনা ছিলো খুবই সাধারণ। আমি প্রথম সেশনে আউট হতে চাচ্ছিলাম না।

আপনি দ্বিতীয় বল ছেড়ে দিয়েছিলেন। বোলার ছিল প্যাট ক্যামিন্স। যে বলটা নিচু হয়ে ছিলো। ভেবেছিলেন বলটি অফ স্ট্যাম্পে লাগবে। বলটি সরে গিয়েছিলো। যখন এতো ভালো বোলার এবং পিচে এতো ফাটল, আপনি কিভাবে বলটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন?

আমি নিজেকে বলেছিলাম বল ফাটলে পড়ার পর যদি কিছু ঘটে তাহলে আমি সেটাকে বিচার করার ভুল বলবো না। যদি আমি ফাটল নিয়ে চিন্তা করা শুরু করতাম তাহলে আমার খেলা শেষ হয়ে যেত। আর আমার খেলাও উচিত হবে না। তাই নিজেকে বলেছিলাম সাধারণ পিচ ভেবে আমি ব্যাট করবো।

পিচ টা উপযুক্ত ছিলো এবং পুরো ম্যাচ জুড়েই বাউন্স ছিলো। এমনকি প্রথম চার দিনেও। তাই নিজেকে বলেছিলাম পিচকে বিশ্বাস করতে এবং সে অনুযায়ী খেলতে।

আপনি রান করার জন্য ২২ বল পর্যন্ত খেলেছিলেন। গড়ে প্রায় অর্ধ ডজন বল খেলে আপনি রান করেন। কিন্তু এটা প্রথমবারের মত কোনো ঘটনা না। এর আগে ২০১৭-১৮ সালে জোহানেসবার্গে প্রথম রান নিতে ৫৩ বল খেলেছিলেন। আপনার মাথায় কি রানে চিন্তা আসে না?

ঠিক সেটা না। একজন ব্যাটসমান হিসেবে আপনি যত দ্রুত সম্ভব রান করতে চাবেন। আপনাকে সেই ছন্দটা পেতে হবে। স্কোরে বোর্ডে রান উঠলে আপনি সেই ছন্দটা পাবেন। আপনি যদি ৫-১০ রান করেন, তাহলে মানসিকভাবে আপনি জানবেন আপনি শান্ত। আপনি জানেন আপনি একটি ভালো শুরু করেছেন এবং এখান থেকে আপনাকে আগাতে হবে। যদি আপনি অনেক বেশি বল বল খেলে ফেলেন আপনার মনে হবে আপনি যদি এক রান নেন তাহলে ভালো হবে। কিন্তু আমার মত কাউকে পাবেন যে কিনা পঞ্চম দিনেও নিজের প্রথম রান না নেয়ার জন্য চিন্তিত না। কারণ আমি আমার উইকেট হারাতে চাই নাই। দল হিসেবেও প্রথম সেশনে আমরা কোনো উইকেট হারাতে চাই নাই। আমি মনে হয়েছে বাউন্সের দিক ছাড়া উইকেট অনেক ভালো ছিলো। আর একদিক থেকে প্রচুর বাউন্সার আসছিলো। যদি যেসব বল আমাকে আঘাত করেছে সেগুলো দেখেন। দেখবেন সবগুলো বলই এক প্রান্ত থেকেই আসছিলো। আমার মনে পড়ছে না অপর প্রান্ত থেকে আসা কোনো বল আমাকে আঘাত করছে কিনা।

প্রথম বড় আঘাত আসে ৬২ তম বলে। যখন আপনি ৬ রানে ছিলেন। বলটা আপনার সামনের কাধে আঘাত করে।

আমার মনে হয় ক্যামিন্স একটু ব্যাক লেন্থে এবং শর্ট বল করতে চাচ্ছিলো। বল যদি সেভাবে আসে তাহলে ভালো । কিন্তু যদি সেভাবে না আসে তাহলে ব্যাটসম্যানে ব্যাকফুটে খেলতে হবে। আমি শুধু দেখলাম বল আমার দিকে আসলো। বল আমার শরীরে আঘাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। কারণ পিচের আচরণ টাই এই রকম ছিলো। বাউন্সারগুলো প্রতিরোধ করা বিপদজনক ছিলো। প্রতিরোধ করতে গেলে বল আমার গ্লাভস বা ব্যাটে লেগে শর্ট লেগ কিংবা গালি অঞ্চলে যেতে পারতো। ঠিক যেভাবে প্রথম ইনিংসে স্মিথ আউট হয়েছিলো। আমি জানি আমি ব্যাকফুটে গিয়েও প্রতিরোধ করতে পারতাম না।

দশ বল পর দেখা গেলো, আপনি বল থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ফেলেছেন। আপনি হার মেনেছিলেন এবং ক্যামিন্সের বল আপনার হেলমেটে আঘাত করে।

ওহ.! হ্যাঁ! বেশ  কিছু সময় দৃষ্টি রাখার চেষ্টা করেছিলাম।  কিন্তু যখন আপনি বলকে অনুসরণ করবেন,তখন বল থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আনার ঝোঁক তৈরি হবে। আমি জানতাম এটা শর্ট ডেলিভারি। কিন্তু এই পিচে আপনি জানবেন না বাউন্স কি রকম হবে। মাঝে মাঝে একই লেন্থের বল আমার হেলমেটের উপর দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই বলে পর্যাপ্ত বাউন্স ছিলো না।

কামিন্সের পরের ওভারে আপনি বুকে আঘাত পান। ধারাভাষ্যে মাইক হাসি বলেছিলেন, আপনি বলের উপর থেকে অনেক আগেই নজর সরিয়ে ফেলেছেন।

আপনি যখন টিভিতে দেখবেন মনে হবে বলের উপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ফেলেছি। কিন্তু আমি আসলে দেখছিলাম সে কোথায় বল ফেলে এবং বলের লেন্থ কি হবে। সে বার বার ইনসুইং বাউন্সার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু পিচের ফাটলের কারণে কিংবা অন্য কোনো কারণে সেটা হচ্ছিলো না। বল আমার দিকে আসছিলো। আর এর জন্য বলের দিকে তাকিয়ে থাকা খুব কষ্টকর ছিলো।

মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো যদি বলের দিকে তাকিয়ে থাকি তাহলে আমার খেলা শেষ হয়ে যাবে। যদি আপনি বল ঠিক মত অনুসরণ করেন তাহলে আপনার খেলা শেষ হয়ে যাবে। তখন আপনি বল গ্লাভসে লাগাবেন অথবা উপরে উঠাতে চাবেন। যেটা করা উচিত হবে না। তাই আমি আঘাত পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কারণ আমি জানি এই মুহুর্তে এই লেন্থের বল আমাকে আঘাত করবে। এমন কি বল যদি আমার শরীরের দিকেও আসে, আমার হাত নিচে রাখতে হবে।

বর্তমানের সেরা টেস্ট বোলারদের শর্ট পিচ এবং গতিশীল বলের বিপক্ষে টিকে ছিলেন। মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে, কামিন্স ফুল লেন্থে বল করে এবং আপনার বক্স এবং পাজরে আঘাত করে।

প্রথম বলটা একটু পিছনে লেন্থে পড়ে। এই বলটি ফুলার লেন্থে ছিলো। সাথে সাথেই বলটি উপরে উঠে। আমি খেলার জন্য বলটি খুজছিলাম এবং মুহুর্তেই বলটি কিছুটা বাউন্স করে। আর আমার বক্সে আঘাত করে। এই বলের জন্য আমাকে আরো বেশি সাবধান হওয়া উচিত ছিলো। কারন লেগ স্লিপে ফিল্ডার ছিলো। যদি দেখেন বল উপরে আছে, তাহলে বল গ্লাভসে আঘাত করা সম্ভাবনা থাকে। তাই আমি শরীর থেকে হাত দূরে রাখতে চাই নাই। এটা আমার পাজরে আঘাত করছে এটাই ভালো। কারন আমি লেগ গালিতে ক্যাচ আউট হতে চাই নাই। আমি শুধু চাচ্ছিলাম আমি আমার হাত শরীরের কাছে রাখবো।

আপনি মধ্যাহ্ন বিরতিতে কি করছিলেন?

আমি খুশি ছিলাম। কারন আমি টিকে ছিলাম। আমি জানতান তারা প্রাণপণ চেষ্টা করেছে আর এখন আমার সময়। আমি উদ্দীপ্ত হচ্ছিলাম। আমি জানতাম এই সেশন আমার জন্য। আর আমি কিছু ঘুষি ফেরত দিতে চাচ্ছিলাম। এইভাবেই আমি মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুরু করি।

আপনি মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৯০ বলে ৮ রান করেছিলেন। এটা কি আপনাকে পোড়ায়?

মোটেই না।

মধ্যাহ্ন বিরতির কিছুক্ষণ পর হ্যাজলেউডের একটি বল আপনার কনুইতে আঘাত করে। আপনার অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছিলো মাঠ ছাড়ছিলেন। আপনি কি ফিজিও নিতিন প্যাটেলকে ডেকেছিলেন?

আমি আশা করছিলাম প্রচুর বাউন্স হবে। যেটা সাধারণত হ্যাজলেউড করে থাকে। আপনি যদি অন্য প্রান্ত থেকে দেখেন, দেখবেন সে একই লেন্থে বল করছিলো। আর প্রচুর বাউন্স হচ্ছিলো। আমার পরিকল্পনা একই ছিলো। বল যতই আমার শরীরে আঘাত করুক আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি ঠিক ছিলাম। কিন্তু ব্যথাটা বেশি বেদনাদায়ক হয়ে উঠছিলো। ফিজিওকে ডাকতে হয়েছিলো। কারণ আগেও আমি একই জায়গায় ব্যথা পেয়েছিলাম। ব্যথা কমানোর জন্য আমার বিরতির প্রয়োজন দরকার ছিলো।

শুভমান গিল আউট হওয়ার পর আপনি আঙ্গুলে ব্যথা পেয়েছিলেন। ফিজিওর সাথে আপনার কি কথা হয়েছিলো?

যত দ্রুত সম্ভব ফিজিও এসেছিলেন। তাকে বললাম আমার মনে হচ্ছে আমি আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলেছি। সে বললো তুমি যদি চাও ব্যথানাশক খেতে পারো। তুমি সুন্দরভাবে ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তাই কোনো চিন্তার কারণ নেই। তুমি এখনো ব্যাট করতে পারবে। কারণ তুমি ব্যথাকে নিয়ন্তণ করতে পারো। সে একটি বিষয়ে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলো আমি ব্যথানাশক নিবো নাকি স্ট্রাপ নিবো।

ভাগ্য ভালো ছিলো এই সময়ে পানি পানের বিরতি ছিলো। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিতে সময় পেয়েছিলাম। আর কিভাবে ইনজুরিকে নিবো সেটা ভাবতে পেরেছিলাম। মাঝে মাঝে আমি যখন ব্যথানাশক খাই তখন বুঝতে পারি না আমি কিভাবে খেলবো। ব্যথানাশক আমার জন্য মানানসই না। তাই নিতিন কে বললাম আমি ব্যথা সহ্য করে খেলতে পারবো। কারণ আমার শরীর গরম আছে। যদিও অনেক ব্যথা ছিলো তাও আমি অনেক উদ্দীপ্ত ছিলাম।

আমি জানতাম এটা খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই আমার ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় ছিলো না। যদি এটা ফ্রাকচারও হতো,তবুও নয়। কারণ এটা আমার জন্য অনেক বেশি পীড়াদায়ক হত। আমি শুধু ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। আমি আগেও ফ্রাকচার নিয়েই খেলেছিলাম। আর ২০১২-১৩ সালে দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই করেছিলাম। কিন্তু ব্রিসবেনে নিশ্চিত ছিলাম না, এটা ফ্রাকচার কি না। কিন্তু আমি নিজেকে এর জন্য পোড়াতে চাচ্ছিলাম না।

ওই বল সম্পর্কে জানান।

বলটা ফুলার লেন্থে ছিলো। কিন্তু এটা হাতে আঘাত করার আগে  ফাটলে পড়েছিলো। এটাই একমাত্র বল যেটা একটু উপরে উঠেছিলো এবং আমি খেলেছিলাম। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।

এক সময়, হ্যাজলেউড বল করার জন্য দৌড় শুরু করেছিলো আর আপনি তাকে থামিয়েছিলেন। টুইটারে কিছু সমর্থক বলছে, তারা শুনেছিলো হ্যাজলেউড আপনাকে বলছিলো আপনার দৃষ্টি নাকি শেষ।

জানি না। তারা কি বলেছিলো।

তারপর সে সরাসরি ১৪০.২ গতিতে আপনার মুখ বরাবর বল করেছিলো।  আপনি লাইনের বাইরে এসে খেলেছিলেন। কিন্তু বল হেলমেটের গ্রিলে আঘাত করে এবং আপনার হেলমেট উড়ে গিয়েছিলো। হ্যাজলেউড আপনাকে বলেছিলো, বল কি দেখতে পেরেছো.? আর আপনি তার দিকে গিয়েছিলেন।

হ্যাঁ।  আমি এটা শুনেছি। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম তাই তার সাথে চোখাচোখি  হয়েছিলো। তার মানে বোলাররা বেশিরভাগ সময় জানে  ব্যাটসম্যানরা নিরর্থক কথা বলে না। যদি না পারতাম তাহলে অনেক আগেই হিট আউট হতাম। এটা সম্ভবত একটু কঠিন বল ছিলো। কিন্তু বল শরীরে আঘাত করায় খুব বেশি বিরক্তির সৃষ্টি করে নাই। এই ধরনের শারীরিক ভাষায় যোগাযোগ করতে চেয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত সে এটা দেখেছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...