নতুন নতুন লাগছিলো রাহির

টেস্ট স্কোয়াডে থাকলেও রাহি সুযোগ পাননি সিরিজের প্রথম টেস্টে। অবশেষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দীর্ঘ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেলেন এই পেসার। প্রথম দিন শেষে রাহি জানিয়েছেন অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরে তাঁর কাছে নতুন লেগেছে সব; তবে রাহি খুশি দ্রুত মানিয়ে নিতে পেরে।

করোনার কারণে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলো বাংলাদেশ। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও ফেরা হয়নি আবু জায়েদ চৌধুরি রাহির। কারণ ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন না এই পেসার।

টেস্ট স্কোয়াডে থাকলেও রাহি সুযোগ পাননি সিরিজের প্রথম টেস্টে। অবশেষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দীর্ঘ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেলেন এই পেসার। প্রথম দিন শেষে রাহি জানিয়েছেন অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরে তাঁর কাছে নতুন লেগেছে সব; তবে রাহি খুশি দ্রুত মানিয়ে নিতে পেরে।

তিনি বলেন, ‘হয়তবা অনেক দিন পর ক্রিকেট শুরু হয়েছে, আমার ক্ষেত্রে যদি বলেন, অনেক দিন পরে ক্রিকেট শুরু হয়েছে। নিজেকে একটু নতুন নতুন মনে হচ্ছিল। কারণ প্রায় এক বছর পর আবার টেস্ট খেলছিলাম। খুব দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম এটাই ভালো জিনিস।’

করোনার কারণে যখন মাঠের ক্রিকেটের সাথে বন্ধ ছিলো অনুশীলন; তখনও ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন আবু জায়েদ রাহি। রাহি মনে করেন ফিটনেস ঠিক রাখতে পারাটাই তাকে সবচেয়ে বেশী সাহায্য করেছে।

এই পেসার বলেন, ‘একটু ডিফিকাল্ট ছিল কিন্তু কোভিডের সময় অনেক ফিটনেস করছি, যখন আমাদের লকডাউন করছি। তো আমার মনে হয় যে আমার ফিটনেস ওয়ার্কটাই আমাকে হেল্প করেছে। আমি প্রতিদিনই আমার ফিটনেস করছি, আমার কাজগুলা আগায়ে নিছি, ওটিসের সাথে কথা বলেছি, ওটিস বলছে তুমি অনেক ভালো শেইপে আছো, তুমি চেষ্টা করে যাও।’

লকডাউনের সময় রাহি নিজ জেলা সিলেটেই ছিলেন। অনুশীলন করেছেন সিলেটের এক স্থানীয় কোচের অধীনে। সিলেটের মাঠে অনুশীলন করতে আলাদা ভালো লাগাও কাজ করে এই পেসারের। জানিয়েছেন অনুপ্রেরিতও হন নিজ জেলাতে অনুশীলন করে।

রাহি বলেন, ‘অনুপ্রেরণা বলতে গেলে নিজের অনুপ্রেরণা। হ্যা সিলেটের কথা বলতে হবে। কারণ ওই মাঠে প্র্যাকটিস করতে আলাদা আনন্দ লাগে আমার। আমি ম্যাক্সিমাম টাইমে সিলেটে থাকলে ওখানে লোকাল কোচকে ফোন দিতাম বা উনি আমাকে ফোন দিত যে আসো মাঠে। সিলেটের মাঠে প্র্যাকটিস করতে আমার আলাদা ইন্টারেস্ট লাগত, আমি সিলেটের মাঠে যাব , প্র্যাকটিস করব, সুন্দর গ্রাউন্ড, আমার কাছে আকর্ষণটা একটু বেশি।’

দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে একমাত্র পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি রাহি; প্রথম দিন দলের সেরা বোলারও তিনিই। ১৮ ওভার বোলিং করে ৫ মেইডেন সহ ৪৬ রান দিয়ে শিকার করেছেন ২ উইকেট। রাহি জানিয়েছেন লেংথ এবং লাইন বজায় রেখে বোলিং করেই সফল হয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতেও একই কাজ করে যেতে চান তিনি।

এ প্রসঙ্গে রাহি বলেন, ‘আমি যে পেইসটা করি, আমার পেইসটা একটু কম। আমাকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে সারভাইভ করতে হলে আমার লেংথ এবং লাইন। এবং আমি যখন বোলিং করি, তখন আমার মাথায় থাকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে ভালো করতে হলে আমাকে লেংথ এবং লাইনে বোলিং করতে হবে। এছাড়া আমার কাছে কোনো সেকেন্ড অপশন নেই। আমি এটাই মাথার মধ্যে রেখে বোলিং করি।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...