উইজডেনের সেরা টিনএজার একাদশ

২০০৫ সালে ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুশফিকুর রহিমের। ১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে ৭০ টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ৭০ টেস্টে ১৩০ ইনিংস ব্যাট করে ৩৬.৪৭ গড়ে মুশফিক সংগ্রহ করেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪১৩ রান।

ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন এবার ভিন্নধর্মী সেরা টেস্ট একাদশ প্রকাশ করেছে। কৈশোরে টেস্ট অভিষেকের পর যারা ক্যারিয়ারে বেশ উন্নতি করেছেন এবং ৩০ বছর পার করেও দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এমন ক্রিকেটারদের নিয়েই এই একাদশ তৈরি করেছে উইজডেন। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সেই একাদশে জায়গা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

বর্তমান ক্রিকেট খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের ভিতর মুশফিকের সাথে একাদশে জায়গা পেয়েছেন শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স। এছাড়াও একাদশে শচীন টেন্ডুলকার, ইমরান খান, গ্যারি সোবার্স, অনিল কুম্বলে, ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তিরাও রয়েছে।

২০০৫ সালে ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুশফিকুর রহিমের। ১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে ৭০ টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ৭০ টেস্টে ১৩০ ইনিংস ব্যাট করে  ৩৬.৪৭ গড়ে মুশফিক সংগ্রহ করেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ  ৪৪১৩ রান।

বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইনিংসটিও এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ২১৯ রান। টেস্টে মুশফিকের ঝুলিতে রয়েছে ২১ টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে ৭ টি সেঞ্চুরি ও ৩ টি ডাবল সেঞ্চুরি।

একাদশে থাকা বাকিরা হলেন –

  • নিল হার্ভে (অস্টেলিয়া)

তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন। ১৯৪৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় হার্ভের। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৭৯ টি টেস্টে ৬১৪৯ রান করেছিলেন তিনি। ১৯৬৩ সালে ৩৫ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নিল হার্ভে।

  • শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)

সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান বলা হয় তাঁকে। ক্রিকেট প্রায় সব ব্যাটিং রেকর্ডই তার দখলে। ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের সাথে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল শচীনের। অভিষেকের পর ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ২০০ টি। ২০০ টেস্টে শচীনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩.৭৮ গড়ে ১৫৯২১ রান। টেস্টে বল হাতেও নিয়েছিলেন ৪৬ উইকেট।

  • ডেনিস কম্পটন (ইংল্যান্ড)

ডেনিস কম্পটন ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হওয়া কম্পটন দেশের হয়ে ৭৮ টেস্টে করেছিলেন ৫৮০৭ রান।

  • মার্টিন ক্রো (নিউজিল্যান্ড)

১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হওয়া মার্টিন ক্রো নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৭৭ টেস্টে সংগ্রহ করেছিলেন ৫৪৪৪ রান। উইকেট নিয়েছিলেন ১৪ টি।

  • গ্রায়েম পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা)

গ্রায়েম পোলক দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত। পলকেরও অভিষেক হয়েছিল ১৯ বছর বয়সেই। পলক দেশের হয়ে ২২ টেস্টে করেছিলেন ৬০.৯৭ গড়ে ২২৫৬ রান।

  • গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। ১৯৫৪ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় তার। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৯৩ টেস্টে ব্যাট হাতে ৫৭.৭৮ গড়ে ৮০৩২ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ২৩৫ উইকেট।

  • ইমরান খান (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনিও সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হওয়া ইমরান দেশের হয়ে ৮৮ টেস্টে করেছেন ৩৮০৭ রান। বল হাতে নিয়েছেন ৩৬২ উইকেট।

  • অনিল কুম্বলে (ভারত)

ওয়ানডে ও টেস্টে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় কুম্বলের। দেশের হয়ে ১৩২ টেস্টে শিকার করেছিলেন ৬১৯ উইকেট। ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৫০৬ রান। ২০০৮ সালে অবসর নেন তিনি।

  • ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান)

সুলতান অব সুইং নামে পরিচিত ওয়াসিম আকরামের টেস্ট অভিষেক হয় ১৮ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে। দেশের হয়ে ১০৪ টেস্টে ৪১৪ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৮৯৮ রান। ২০০২ সালে টেস্ট থেকে অবসর নেন তিনি।

  • প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)

মাত্র ১৮ বছর বয়সে ২০১১ সালে টেস্টে অভিষেক হয় তার। এখনো খেলে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার। অভিষেকের পর থেকে খেলেছেন ৩২ টি টেস্ট। ৩২ ম্যাচে ১৫৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

  • উইজডেনের সেরা টিনেজার একাদশ: নেইল হার্ভে, শচীন টেন্ডুলকার, ডেনিস কম্পটন, মার্টিন ক্রো, গ্রায়েম পোলক, গ্যারি সোবার্স, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইমরান খান (অধিনায়ক), অনিল কুম্বলে, ওয়াসিম আকরাম এবং প্যাট কামিন্স।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...