গত জানুয়ারিতে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টেন ক্রিকেট লিগের চতুর্থ আসরে খেললেও এখনো পুরোপুরি মাঠে ফেরা হয়নি নাসির হোসেনের। অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২২তম আসর দিয়ে দেশের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।
দীর্ঘ বিরতির পর আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। দেশের চারটি ভেন্যুতে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে আগামীকাল মাঠে নামবে দল গুলো। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ৮ টি দল ৬ রাউন্ডে মোট ৬ টি ম্যাচ খেলবে। প্রথম স্তরের দল রংপুর বিভাগের হয়ে মাঠে নামবেন নাসির হোসেন।
ইনজুরি ও বিতর্ক পিছনে ফেলে অনুশীলন শুরু করা নাসির হোসেন জাতীয় লিগে নিজের লক্ষ্যও ঠিক করেছেন। আজ অনুশীলন শেষে মিরপুরে গনমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাসির হোসেন জানিয়েছেন এবারের লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে অন্তত ৮০০ থেকে ১০০০ রান করতে চান তিনি।
এ প্রসঙ্গে নাসির বলেন, ‘অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। প্রায় এক বছর পর আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছি। টুর্নামেন্টটা ভালো ভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকবে। এটা আমার কামব্যাক টুর্নামেন্ট। চেষ্টা থাকবে অন্তত পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার। যেহেতু ৬টা ম্যাচ, ৬ ম্যাচে যেন অন্তত ৮০০ বা হাজার রান করতে পারি। এটাই আমার চেষ্টা থাকবে।’
সোহারাওয়ার্দী শুভ, নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, আরিফুল হক ও ধীমান ঘোষের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সাথে রংপুরের হয়ে আরো খেলবেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আকবর আলি ও রিশাদ হোসেনের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে থাকায় খেলতে পারবেন না লিটন দাস। নাসির হোসেন জানিয়েছেন লিটন না খেললেও দল নিয়ে আশাবাদী তিনি।
এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘বরাবরই আমরা ভালো দল থাকি এবং ভালো খেলি। প্রত্যেকবারই শিরোপার জন্য লড়াই করি। লিটন অবশ্যই আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে ও ছাড়াও ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দল ভালো।’
এর আগে গত বছরের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট কাপ ও বঙ্গুবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু চোটের কারণে ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পেরে খেলা হয়নি নাসিরের। এরপর জানুয়ারিতে চোট কাটিয়ে টি-টেন টুর্নামেন্ট খেললেও নাসির জানিয়েছেন শতভাগ ফিট না তিনি; চোট নিয়ে ভয়ে আছেন এখনো।
তিনি বলেন, ‘ইনজুরির ভাবনাটা এখনো আমার মাথা থেকে পুরোপুরি যায়নি সত্যি বলতে। বলবো না এখনো একশ ভাগ ফিট। মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে। চেষ্টা করছি শতভাগ ফিট হওয়ার জন্য। খেলার মাধ্যমেই ভয়টা কাটানো সম্ভব। খেলা আর জিম রানিংয়ের মাধ্যমে পুরোপুরি শেষ হওয়া সম্ভব।
গত মাসে বিয়ে করেছেন নাসির হোসেন। বিয়ে নিয়ে রীতিমত লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল; বিয়ে নিয়ে বিতর্ক থেমে থাকলেও তা শেষ হয়নি এখনো। নাসিরের স্ত্রী তামিমার আগের স্বামী দাবি করেছেন ডিভোর্স না দিয়েই তামিমাকে বিয়ে করেছেন নাসির।
কিন্তু, নাসির ও তামিমা বরাবরই দাবি করে আসছেন, সব নিয়মকানুন মেনে এবং তামিমার আগের সংসারের ইতি টেনেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। আজ নাসির হোসেন জানিয়েছেন শীঘ্রই তাদের বিয়ের বৈধতার কাগজপত্র দেখানো হবে।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে সমস্যয় থাকলেও নাসির হোসেন জানিয়েছেন মাঠের বাইরের এসব বিষয় খেলায় প্রভাব ফেলবে না তাঁর। তিনি বলেন,‘এটা ক্রিকেট মাঠ। এখানে খেলতে আসলে আমার মাথায় বাইরের চিন্তা থাকে না। কোনো খেলোয়াড়েরই থাকে না। বাইরে যাই হোক না কেন, ব্যাটিং বোলিং করার সময় এসব চিন্তা থাকে না।’