বিজয় মানেই বড় ইনিংস

একটা রানের আক্ষেপ! মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বাউন্সার বলটা উইকেটের সামনের দিকে খেললে, হয়ত ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন। ১৪৩ বলে ১২ বাউন্ডারি আর চার ওভার বাউন্ডারিতে খেললেন ১৪৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস।

একটা রানের আক্ষেপ! মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বাউন্সার বলটা উইকেটের সামনের দিকে খেললে, হয়ত ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন। ১৪৩ বলে ১২ বাউন্ডারি আর চার ওভার বাউন্ডারিতে খেললেন ১৪৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস।

তাসকিনের ফুলটস বলটা মিড অনে ঠেলে দিয়ে যেন বুক থেকে পাহাড় নামিয়ে ফেললেন। এনামুল হক বিজয় তুলে নিলেন লিস্ট এ ক্রিকেটে ২১ নম্বর সেঞ্চুরিটা। আর পেশাদার ক্রিকেটে ৪৮ তম শতক, অর্থাৎ সেঞ্চুরির অর্ধশতক থেকে এখন মাত্র দুইটা শতক দূরে এনামুল। ১০১ বলে ৯২ রান থেকে সেঞ্চুরি অবধি যেতে খেলতে হল আরও ২১টা বল! সহজেই অনুমেয় সেঞ্চুরিটা খুব করেই চেয়েছিলেন তিনি।

চলতি ডিপিএল শুরুর সপ্তাহ খানেক আগে নিজের ডায়েরির একটা পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন তিনি। প্রায় এক যুগ আগে সেখানে লিখেছিলেন ৫০টা সেঞ্চুরির মালিক তিনি হতে চান ২০২৫ সালের শেষ হবার আগে।

এই ডিপিএলেই তিনটি সেঞ্চুরি করলেই তার সে স্বপ্ন সত্যি হয়ে যাবে। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই ফিরেছিলেন শূন্য হাতে। তবে এরপরেই ঘুরে দাঁড়ান তিনি। টানা দুই ফিফটি আর এক ৪০ ঊর্ধ্ব ইনিংসে দলকে জয়ের পথেই রাখেন তিনি। তবে সেই কাঙ্খিত সেঞ্চুরিটা আর করে হওয়া উঠছিল না।

তবে কথায় আছে না, সবুরে মেওয়া ফলে! ৪৮ তম সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে মোহামেডানের প্রতিপক্ষকেই যেন বেছে নিলেন তিনি। শক্তিশালী মোহামেডানের তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, তাইজুল ইসলাম কিংবা সাইফউদ্দিন, মিরাজদের পাত্তাই দেননি তিনি। উইকেটের চারপাশে চার ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন বিজয়।

ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের তালিকা করলে এনামুল বিজয় নামটা তালিকার উপরের দিকে থাকবে। বছরের পর বছর, টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট দেশের ক্রিকেটে অসামান্য সব কৃতি সৃষ্টি হচ্ছে তার ব্যাটের আঘাতে। অধিনায়ক হিসেবেও বিজয়ের দাপটটা স্পষ্ট।

দলে তেমন নামি-দামি তারকা ক্রিকেটের দূর জাতীয় দলে খেলেছেন এমন নামও খুঁজে পাওয়া বড্ড দুষ্কর। অথচ এই দল নিয়েই এখন অবধি পাঁচ ম্যাচে চারটিতেই জিতে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে তার দল। আবাহনী, মোহামেডান, লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের মত তারকা খ্যাতি বা টাকার ঝনঝনানি হয়তো বিজয়ের গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের নেই। তবে তাদের এনামুল আছে, তার কাঁধে ভর দিয়েই বিজয়ের হাসি হাসতে চায় দলটি।

Share via
Copy link