ভারতে চলমান রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও ভাগ্য বদলাতে পারেননি বাংলাদেশ লিজেন্ডস। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ভারত লিজেন্ডসের কাছে ১০ উইকেটের বড় ব্যাবধানে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
আসরে নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচেই মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য ভরাডুবি হয়েছে পাইলট-রফিকদের। প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ভারত লিজেন্ডসকে মাত্র ১০৯ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর আজ ইংল্যান্ড লিজেন্ডসকে মাত্র ১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের দুই ওপেনার ফিলিপ মাস্টার্ড ও কেভিন পিটারসেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৩.৪ ওভারে দুজন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৬ রান। ১৬ বলে ২৭ রান করে মাস্টার্ড ফিরে গেলেও দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন পিটারসেন।
১৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে পিটারসের যখন বিদায় নেন তখন ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৭৩ বলে মাত্র ২৮ রান। এরপর স্কোফিল্ড (৫) আউট হয়ে গেলেও হ্যামিলটনকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটা শেষ করেন ড্যারেন মেডি। মেডি ৩২ এবং হ্যামিলটন ৫ করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ রফিক দুটি এবং আলমগীর কবির শিকার করেন একটি উইকেট।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ লিজেন্ডস। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আগের ম্যাচে দলকে উড়ন্ত শুরু এনে দেওয়া নাজিমউদ্দিন ১৪ বলে ১২ রান করে ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই ১২ বলে ৫ রান করে ফিরে যান আরেক ওপেনার জাবেদ ওমর বেলিম।
দলীয় ২২ রানে দুই ওপেনার হারানোর ধাক্কা সামলে নিতে উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি হান্নান সরকার। দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আউট হওয়ার আগে হান্নানের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৩ রান। এরপর দ্রুত দুই ব্যাটসম্যান নাফিস ইকবাল (৮) ও রাজিন সালেহ (৫) ফিরে গেলে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ লিজেন্ডস।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্থানে পৌছে দেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট এবং মুশফিকুর রহমান। পাইলট ৩১ রান করে হাতে ব্যাথা পেয়ে মাঠ থেকে উঠে গেলেও ২৬ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহমান। ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের পক্ষে ক্রিস ট্রেমলেট ২ টি এবং মন্টি পানেসার, ক্রিস স্কোফিল্ড ও রায়ান সাইডবটম ১ টি করে উইকেট শিকার করেন।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ লিজেন্ডস: ১১৩/৫ (ওভার:২০; নাজিমউদ্দিন- ১২, জাভেদ- ৫, হান্নান- ১৩, নাফিজ- ৮, রাজিন- ৫, পাইলট- ৩১*, মুশফিকুর- ৩০*, রফিক- ২*; ট্রেমলেট- ২/১০, পানেসার- ১/১৫, স্কোফিল্ড- ১/২১, সাইডবটম- ১/২৪)
ইংল্যান্ড লিজেন্ডস: ১১৭/৩ (ওভার:১৪; মাস্টার্ড- ২৭, পিটারসেন- ৪২, স্কোফিল্ড- ৫ , ডেডি- ৩২*, হ্যামিলটন- ৫*; রফিক- ২/৩১, আলমগীর- ১/২৬)
ফলাফল: ইংল্যান্ড লিজেন্ডস ৭ উইকেটে জয়ী।