ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে সামনে রেখে, অর্থ খরচে কার্পণ্য করেনি। অর্থ ঢেলেছে, বহু নতুন খেলোয়াড়কে দলে নিয়েছে। পুরনো খেলোয়াড়কে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে কলকাতা ফ্রাঞ্চাইজি। কিন্তু বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে দলটি পছন্দ করেছে আজিঙ্কা রাহানেকে। তীব্র গতিতে ছুটে আসছে এক একটি প্রশ্নবাণ। কারণও বেশ যৌক্তিক। আইপিএলে রাহানের অধিয়ানায়কত্ব করবার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে বটে। কিন্তু সে অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়।
২৫ ম্যাচে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার ১৬টি ম্যাচেই হেরেছেন তিনি। ৬৪% ম্যাচেই পরাজয়ের গ্লানি মাথায় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। এমনকি ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার অধিনায়কত্বের রেকর্ড খুব একটা সুখকর নয়। এমন একজনকে শিরোপা রক্ষা করার দায়িত্বভার দেওয়া সমীচিন নয় নিশ্চয়ই।
তবে রাহানের সামনে সুযোগ রয়েছে সবাইকে ভুল প্রমাণ করবার। ঠিক তেমননি ভেঙ্কেটেশ আইয়ারের সুযোগ আছে নিজের পারিশ্রমিকের যথার্থতা প্রমাণ করার। তাকে দলের ফিরিয়ে আনতে ২৩.৭৫ কোটি রুপি খরচ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু এত অর্থ খরচ করবার মত ক্রিকেটার ভেঙ্কেটেশ নন- তেমন ভাবনা থেকে সমালোচনা হচ্ছে নাইটদের পরিকল্পনার।
আইপিএলের ৫০ ম্যাচে ১৩২৬ রান করেছেন ভেঙ্কেটেশ। এই সময়ে তার স্ট্রাইকরেট ১৩৭.১৩। সর্বশেষ আসরে ১৫৮ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন এই বা-হাতি। ৪৬ গড়ে ৩৭০ রান করে দলকে শিরোপা জেতাতে সহয়তা করেছেন ভেঙ্কেটেশ। সে কারণেই তার পেছনে এত অর্থ খরচ করতেও দ্বিধা করেনি কলকাতা। তিনি নিশ্চয়ই আবারও বিধ্বংসী রুপ ধারণ করবেন।
তবে রিঙ্কু সিংয়ের আগ্রাসন দেখার জন্যে অধিকাংশ দর্শক মুখিয়ে আছেন। ২০২৩ আসরটা তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন ব্যাটের ঝঙ্কারে। কিন্তু ২০২৪ আসর কেটেছে একেবারে সাদামাটা ধাঁচে। ২০২৩ আসরের অর্ধেক রানও তিনি করতে পারেননি ২০২৪ আসরে। ৪৭৪ রানের বিপরীতে ১৬৮ রান এসেছে রিঙ্কুর ব্যাট থেকে।
তবুও তার প্রতি দল রেখেছে অগাধ আস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে তিনি ছিলেন কলকাতার রিটেইন করা খেলোয়াড়দের একজন। এই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার জন্যে মঞ্চ প্রস্তুত আছে। রিঙ্কুকে স্রেফ মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের সক্ষমতার প্রদর্শনী করতে হবে। তবেই কেটে যাবে সকল শঙ্কার ধূসর ধুম্রজাল।