টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে লজ্জার পাঁচ ইনিংস

টেস্ট ক্রিকেট মানেই দীর্ঘ সময় ধরে চলা লড়াই, টেস্ট ক্রিকেট মানে স্কোরবোর্ড বড় রান। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন সব ভয়ানক ধস নামে, যেখানে দলগুলো চোখের পলকে ইনিংসের সমাপ্তি টেনে দিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ে। দেখে নেওয়া যাক টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সবথেকে কম রানে অলআউট হওয়ার তালিকাটি।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের নাড়ি নক্ষত্র জানেন মারিও ভিল্লাভারায়ন। সাকিব-মাশরাফি-মুশফিকদের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘ ছয় বছর। এই লঙ্কান এখন কাজ করেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। তবে, বাংলাদেশের খেলা দেখেন এখনও, সতীর্থদের খোঁজ খবর রাখেন। কলম্বোতে বসে খেলা ৭১-এ এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হলেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অতিত-বর্তমান ও আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেসের গুরুত্ব-সহ অনেক কিছুই উঠে এল।

লর্ডস টেস্ট হারের পর সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন অধিনায়ক শুভমান গিল। একে তো হারের ক্ষত, তার উপর মাঠে তার অতিরিক্ত আগ্রাসী মনোভাব যেন চোখের বালি হয়ে উঠেছে ভক্তদের। তবে কঠিন মুহূর্তে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।

শেষ পর্যন্ত সাকিবের দুবাই ক্যাপিটালস সোহানের রংপুর রাইডার্সকে টেক্কা দিতে পারল না। পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই সাকিবদের শেষ করতে হল এবারের আসর। আর অপ্রতিরোধ্য রংপুর পা রেখে দিল ফাইনালের মঞ্চে।

নেতিবাচক ব্যাটিং করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে কি না, সেটা নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু, আর প্রেমাদাসায় প্রথম বল থেকেই যেভাবে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, সেটাতে স্পষ্ট নেতিবাচকতা এখন দলের ব্যাটিংয়ের ধারের কাছেও নেই।

আর প্রেমাদাসার উইকেট একটু ট্রিকি ছিল। তবে, সেটা মোটেও ১৩৩ রান ডিফেন্ড করার মত নয়। শ্রীলঙ্কা সেটা পারেনি। বরং, বাংলাদেশের সামনে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিকরা। কলম্বোর ৩৫ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে আট উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত যেকোনো ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল লিটন দাসের দল।

আত্মবিশ্বাসের স্ফুলিঙ্গ দাবানলে পরিণত হল। তানজিদ হাসান তামিমের ছক্কার তাপে পুড়ল প্রেমাদাসা। বাংলাদেশ গড়ল ইতিহাস। তরুণ তামিমের ব্যাটে ভর করে প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা।

সমালোচনার জবাব দিলেন, অপমানের কড়া প্রতিবাদ করলেন। মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে শেখ মেহেদী হাসান জানিয়ে দিলেন, তাঁকে হঠাৎ করে টি-টোয়েন্টি একাদশের বাইরে ঠেলে দেওয়াটা অন্যায় ছিল।

শন টেইট ছয় মাস সময় চেয়েছেন। তিনি এর মধ্যে কিছুই করবেন না। স্রেফ পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর প্রয়োজন সাপেক্ষে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আনবেন সাবেক অজি তারকা। বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা- সেটা মেনে নেবে যে কেউ। এমন ইউনিটের দায়িত্বভারই পড়েছে শন টেইটের উপর।