কি নিদারুণ এক দু:স্বপ্নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজয়ের পর বিশ্বকাপকে ঘিরে সব প্রত্যাশা দুঃসহ বেদনার বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছে। সেই বৃষ্টিতে ভিজেছে পুরো বাংলাদেশ; ভক্ত-সমর্থক আর ক্রিকেটাররা।
বাদ যাননি হেডকোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেও, বিদেশি এই কোচও বুঝে উঠতে পারেননি কি হয়ে গেলো দলের। তিনি মেনেই নিতে পারছেন না শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স, এমনকি ঘুমাতে পারেননি রাতে।
ম্যাচের পরের দিন সাংবাদিকদের সাথে আড্ডায় এই লঙ্কান বলেন, ‘খুবই হতাশাজনক। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। হোটেলে ফিরে ঘুমাতেই পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে তিনটার দিকে একটু ঘুমিয়েছি।’
কিন্তু এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। অন্তত নেদারল্যান্ডসকে হেসে খেলে হারানোর মত শক্তি নিশ্চয়ই আছে টাইগার শিবিরে। অথচ মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন সাকিব, মুশফিকরা। তবে কি আগের চার ম্যাচ হেরে তলানিতে পৌঁছে যাওয়া আত্মবিশ্বাসের কারণেই এমন পরাজয় দেখতে হয়েছে; নাকি ডাচদের বিপক্ষে হারলেই সব শেষ – এই চাপ কাবু করেছে তাঁদের?
যদিও টাইগার হেডমাস্টার এসব সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দিচ্ছেন না, বলছেন এমনটা হতে পারে। এটাও হয়ে থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ তো থাকবেই তাতে ভেঙে পড়তে হবে কেন, সেই উত্তরে তিনি অবশ্য উচিত, অনুচিতের কথা বলেছেন। তাঁর সহজ স্বীকারোক্তি, এটা হওয়া উচিত নয় একদম।
সত্যি বলতে অনুচিত ঘটনাই বেশি ঘটছে বর্তমানে; টানা তিন বছর একজনের নেতৃত্বে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পর বাংলাদেশ বিশ্বকাপে এসেছ আরেকজনের নেতৃত্বে। অস্থিতিশীলতার সেই শুরু, এরপর ব্যাটারদের পজিশন নিয়েও অনাকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
এতকিছুর পরেও ব্যর্থতার পুরো দায় ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে। টিম ম্যানেজম্যান্টে নাটকীয়তা অন্য অনেক জায়গায় ঘটলেও, মাঠে সবার একসাথে ফর্ম হারানোর ঘটনা অন্তত আর কোন দেশে ঘটে না।