ভারতের জয় রথ চলছেই; টানা পরাজয়ে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড পারেনি কোন চমক দেখাতে। রোহিত শর্মা, মোহাম্মদ শামিদের নৈপুণ্যে ১০০ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা, আর তাতে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের। আর টানা ছয় জয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল রোহিত শর্মার দল। মানে, আর মাত্র দু’টো ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে স্বাগতিকরা।
এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত আগে ব্যাট করতে নেমে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। নতুন বল হাতে ত্রাস ছড়িয়েছেন ইংলিশ পেসাররা; নয় রানে আউট হয়েছেন শুভমান গিল, আর ক্যারিয়ারে প্রথম বিশ্ব মঞ্চে ডাক মেরেছেন বিরাট কোহলি। বাইশ গজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি শ্রেয়াস আইয়ারও।
টপ অর্ডারের এই বিপর্যয়ের মাঝেও অবিচল ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন তিনি। ৩৯ রান করে রাহুল আউট হলে ভাঙে দুজনের ৯১ রানের জুটি; ততক্ষণে অবশ্য আরো একটি হাফসেঞ্চুরি ঝুলিতে পুরেছেন রোহিত।
রাহুলের বিদায়ের পর সুরিয়াকুমার যাদবকে নিয়ে নতুন করে লড়াই শুরু করেন তিনি। কিন্তু শতক থেকে ১৩ রান দূরে থাকতেই থামতে হয় তাঁকে; এরপর আবারো ধ্বস নামে ব্যাটিং লাইনআপে। ১৬৪/৪ থেকে ২০৮/৮ -তে পরিণত হয় দলটির স্কোরকার্ড।
অষ্টম উইকেট হিসেবে সুরিয়া ৪৯ রানের মাথায় আউট হলে ভারতের চ্যালেঞ্জিং পুঁজির স্বপ্ন ফিঁকে হয়ে যায়। শেষদিকে জাসপ্রিত বুমরাহর ১৬ রানের কল্যাণে ২২৯ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় টিম ইন্ডিয়া।
ব্যাট হাতে কার্যকরী অবদান রাখা এই পেসার আসল কাজ করেন দ্বিতীয় ইনিংসে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ভরসা ডেভিড মালান এবং জো রুটকে পরপর দুই বলে ফেরান তিনি। তারপরই মোহাম্মদ শামির জোড়া আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ইংলিশ টপ অর্ডার; ৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় তাঁদের।
তবু জস বাটলার, মঈন আলীরা চেষ্টা করেছেন যথা সম্ভব; কিন্তু সবই বৃথা গিয়েছে ভারতীয় বোলারদের দাপটে। দশ রান করে সাজ ঘরে ফিরেছেন বাটলার, ১৫ করে মঈনও হেঁটেছেন একই পথে। সেখান থেকে কেবলই ব্যবধান কমানোর জন্য খেলেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ২৭ রান করে দলকে ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে রক্ষা করেছেন। এছাড়া আদিল রশিদ করেছেন ১৩ রান, আর উইলির ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রান। শেষপর্যন্ত ১২৯ রানেই থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ভারতের পক্ষে চারটি উইকেট নিয়েছেন শামি।