প্রথম ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দিতা করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো অস্ট্রেলিয়া; রান পাহাড়ে চাপা পড়ে ৪৪ রানে হেরেছে দলটি। এদিন স্বাগতিকদের ছুঁড়ে দেয়া ২৩৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৯১ রানেই থেমেছে অজিদের ইনিংস; ব্যাটিং লাইনআপের কেউই পাননি ফিফটির দেখা।
তবে সফরকারীরা মূলত হেরেছে ভারতের ব্যাটারদের কাছে; বিশেষ করে টপ অর্ডারের তিন তরুণ তুর্কির কাছে। তাঁরা হলেন যশস্বী জসওয়াল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ঈশান কিষাণ। তিনজনই খেলেছেন দুর্দান্ত সব ইনিংস আর তাতেই ক্যাঙারুদের বিপক্ষে টানা দুই জয় তুলে নিতে সক্ষম হলো সুরিয়াকুমাররা।
ওপেনিংয়ে নেমে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন জয়সওয়াল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত প্রথমেই দিয়েছিলেন তিনি; এরপর আবার শট অ্যাবটের এক ওভারেই নিয়েছেন ২৪ রান। নাথান ইলিচের বলে আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৫২ রান করেছিলেন এই ওপেনার।
তাঁর সঙ্গী ঋতুরাজ গায়কোয়াড় অতটা বিধ্বংসী হতে না পারলেও নিজের কাজটা করেছেন ভালভাবেই।শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। সবমিলিয়ে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৫৮ রান।
তবে ভারতের ইনিংস অতদূর যাওয়ার পিছনে মূল অবদান ঈশান কিষাণের। মাঝের ওভারগুলোতে অজিরা যখন রানের চাকা আটকে দিচ্ছিলো তখনি তাঁদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। প্রথম ১৪ বলে ১২ রান করা এই উইকেটকিপার পরের ১৮ বলে করেছেন ৪০ রান – এর ফলেই ম্যাচের মোমেন্টাম পুরোপুরি সরে আসে স্বাগতিকদের দিকে।
তাঁর এই ফিফটির মধ্য দিয়ে দারুণ এক রেকর্ডও সৃষ্টি হয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এবারই প্রথম টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারই হাফসেঞ্চুরি করতে পেরেছেন।
তবে এত কিছুর ভিড়ে আরেক সম্ভাবনাময়ী ব্যাটার রিংকু সিংয়ের কথা ভুলে গেলে অন্যায় হবে। কলকাতার হয়ে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে সাড়া ফেলে দেয়া এই ফিনিশার এদিনও দেখিয়েছেন নিজের পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য।