সিরিজ আগেই হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া; শেষ ম্যাচটা তাই ছিল কেবলই নিয়ম রক্ষার। তবে এই ম্যাচেও জয়ের স্বাদ পেলো না তাঁরা, ভারত সফরের শেষটা করলো চতুর্থ পরাজয়কে সঙ্গী করেই। এদিন স্বাগতিকদের কাছে ছয় রানে হেরেছে ম্যাথু ওয়েডের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই ভাল শুরু এনে দেন যশস্বী জসওয়াল, তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছেন এই তরুণ, আরেক ওপেনার রুতুরাজ গায়কড়ও দশ রানের বেশি করতে পারেননি। দুই টি-টোয়েন্টি স্টার সুরিয়াকুমার আর রিঙ্কু সিং ব্যর্থ হওয়ায় ৫৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শ্রেয়াস আইয়ার এবং জীতেশ শর্মা। তাঁদের ৪২ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত, ২৪ রান করা জীতেশকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন অ্যারন হার্ডি। তবে, অবিচল শ্রেয়াস আবারো জুটি গড়েন অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে, এই দুজনের অবদানে বোর্ডে যোগ হয় আরো ৪৬ রান।
ততক্ষণে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন আইয়ার। শেষ পর্যন্ত তাঁর ৫৩ রান এবং অ্যাক্সারের ৩১ রানে ভর করে ১৬০ রানের মাঝারি মানের পুঁজি পায় টিম ইন্ডিয়া।
জবাবে ইনফর্ম ট্রাভিস হেড ভাল কিছুর বার্তা দেন, কিন্তু রবি বিষ্ণয়ের স্পিন ঘূর্ণিতে ধরা পড়ে থামতে হয় তাঁকে। এর আগে অবশ্য জশ ফিলিপ্পেকে আউট করেছিলেন মুকেশ কুমার। তবে তিন নম্বরে নামা বেন ম্যাকডরমট দলকে জয়ের পথে রাখেন, টিম ডেভিডকে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ৪৭ রানের জুটি। কিন্তু ডেভিড ফিরতেই ধ্বস নামে অজিদের ব্যাটিং লাইনআপে।
ম্যাথু শর্ট, বেন ডারউইশ কেউই পারেননি হাল ধরতে; ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি করে ম্যাকডরমটও ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। এর ফলে ১০২ রানে ৩ উইকেট ১২৯ রানে সাত উইকেটের দলে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। জয়ের স্বপ্ন তখনি শেষ হয়ে গিয়েছিল, যদিও অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড চেষ্টা করেছেন অবিশ্বাস্য কিছু করার।
কিন্তু বিশতম ওভারে তাঁকে শিকার করেন আর্শ্বদীপ সিং, তাতেই ক্যাঙারুদের সম্ভাবনা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়। শেষমেশ নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৫৪ রানেই থেমে যায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ইনিংস। এর মধ্য দিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের লজ্জা পেলো তাঁরা।