নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন সুসংবাদ পেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হয়েছেন তিনি, গত বুধবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে টেলিফোন করা হয় তাঁকে। আর তাই বিসিবি থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে।
২০২৪ সালের শেষদিকে মেয়াদ শেষ হলে হয়তো আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। সেক্ষেত্রে বিসিবি প্রধানের দায়িত্বে নতুন কে আসবে সেটা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত নামটা সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার।
সাম্প্রতিক সময়ে মাশরাফিকে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। এই ব্যাপারে পাপন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বলেন, ‘প্লেয়াররা বোর্ডে আসুক এটা প্রথম আমি জোর দিয়ে বলেছি। ডেফিনিটলি সবার জন্য ওপেন; কিন্তু আগের মত এখন কেউ বসিয়ে দিতে পারবে না। ইলেকশনে পাস করতে হবে, সার্টেইন ক্রাইটেরিয়া আছে ওরা সেগুলো পার করতে পারলে ডেফিনিটলি আসবে।’
মাশরাফিকে নিয়ে তিনি আলাদাভাবে বলেন যে, ‘সে (ম্যাশ) নিজেও অনেক ব্যস্ত এখন। তারপরও আমি ওকে বলেছি, অফার দিয়েছি। বোর্ড ডিরেক্টর না, ওইটা তো ইলেকশনের ব্যাপার। আমরা চেয়েছি তাঁকে বোর্ডের সাথে যুক্ত করতে। কিন্তু আগে তো ওর খেলা ছাড়তে হবে। খেলা না ছাড়লে তো কাউকে বোর্ডে আনতে পারব না।’
এখন তাই মাশরাফি মর্তুজার ক্রিকেট বোর্ডে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। গঠননীতি অনুযায়ী, সভাপতি হতে হলে তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু সময়। ক্লাব ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে।
তবে একদিন বর্তমানের ক্রিকেটাররা বোর্ডে আসবে এমনটাই আশা করছেন বিসিবি বস। মাশরাফি, সাকিবদের ক্রিকেট মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে পারলে নিঃসন্দেহে আরো এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিশেষ করে ম্যাশ যেভাবে সবার সাথে মিশছেন, এলাকার উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেভাবে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে কাজ করলে পেছনে ফিরে দেখতে হবে না আর।