আবারো হট ফেভারিট প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রান বন্যার ম্যাচে আভিস্কা ফার্নান্দোর ৯১ রান আর কার্টিস ক্যাম্ফারের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে হ্যাট্রটিক পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে তামিম, মুশফিকরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে এক ওভারে তিন চার হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন তানজিদ হাসান তামিম, কিন্তু সেই ওভারেই তাঁকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। টানা ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি ইমরানউজ্জামানও। ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া চট্টগ্রামের হাল ধরেন ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো।
শাহাদাত হোসেন দীপুকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন তিনি। এতেই বড় রানের ভিত পায় দল। ৩১ রান করে দীপু প্যাভিলিয়নে ফিরলেও স্কোরবোর্ড সচল রাখেন আভিস্কা আর নাজিবুল্লাহ জাদরান। এই দুজন মিলে মাত্র ৬.২ বলে ৬৮ রান তোলেন। ততক্ষণে হাফসেঞ্চুরি পেরিয়ে যান লঙ্কান ওপেনার।
ফিফটি পূর্ণ করার পর রীতিমতো ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হন তিনি, নিজের মোকাবিলা করা শেষ দশ বলে ৩৯ রান আদায় করেন। অন্যদিকে, আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার নয় বলে করেন ২৯ রানে। তাতেই ১৯৩ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় বন্দরনগরীর প্রতিনিধিরা।
রান তাড়া করতে নেমে সমান তালে জবাব দেয় ফরচুন বরিশাল। আহমেদ শেহজাদ প্রথম ওভারেই বিশাল ছক্কা মেরে নিজের আগমনী বার্তা দেন। ষষ্ঠ ওভারে আউট হওয়ার আগে স্রেফ ১৭ বল খেলে ৩৯ রান করেন তিনি। উড়ন্ত শুরু পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি তাঁর দল, তামিম-সৌম্যের ওয়ানডে স্টাইলের ব্যাটিং চাপে ফেলে দিয়েছে তাঁদের।
সেই চাপ আরো বেড়েছে যখন একই ওভারে ক্যাম্পার দুজনকেই আউট করেন; সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই তিনি পরের ওভারে ফেরান মাহমুদউল্লাহ আর ক্যারিয়াহকে। তবে অভিজ্ঞ মুশফিক, মিরাজকে সঙ্গী করে অসম্ভব এক সমীকরণ মেলানোর লড়াইয়ে নামেন।
কিন্তু মুশফিক আজ আর পারেননি দারুণ কিছু করতে, তাই তো মিরাজের ১৬ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও বৃথা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে থামে বরিশালের ইনিংস। অবশ্য তামিম, সৌম্য আর মুশি এই তিনজন শম্ভুক গতিতে ব্যাটিং না করলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারতো।