টম হার্টলির অভিষেক আর প্রযুক্তির জাদু

হায়দ্রাবাদে ভারতকে হারানোর নায়ক টম হার্টলি, দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট তুলে নিয়ে একাই স্বাগতিকদের ধ্বসিয়ে দিয়েছেন তিনি। অথচ এর আগে কখনো ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলেননি এই স্পিনার, এমনকি চলতি সিরিজে খেলার কথাও নয় তাঁর। কেননা, ঘরোয়া ক্রিকেটে বলার মত কিছু করেননি তিনি।

এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ম্যাচে মাত্র চল্লিশ উইকেট পেয়েছেন হার্টলি। পেস বান্ধব কন্ডিশন বিবেচনা করা হলেও এমন পরিসংখ্যান খুব আশাব্যাঞ্জক নয়। তবু তাঁকে দলে রেখেছে ইংলিশ ম্যানেজম্যান্ট – সেই ভরসার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু হুট করে তাঁর মধ্যে কি দেখতে পেরেছে ক্রিকেট কর্তারা সেটা একটা রহস্য বটে।

সেই রহস্যের উত্তর লুকিয়ে আছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ব্যবহৃত প্রযুক্তির মাঝে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারদের শরীরে আইহক ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, এর ফলে খেলোয়াড়দের নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।

এই প্রযুক্তির সাহায্যেই দেখা গিয়েছে টম হার্টলি বোলিংয়ের সময় উচ্চতার ব্যবহার করেন। অর্থাৎ তাঁর রিলিজিং পয়েন্ট হাই, অনেকটাই ভারতের অক্ষর প্যাটেলের মত। এই ধরনের অ্যাকশন উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে দারুণ কার্যকরী। সেজন্যই তাঁকে স্কোয়াডে রেখেছে।

তাতেই বাজিমাত করেছেন এই তারকা, মাত্র ৬২ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন সাত উইকেট। গত ৯১ বছরে এমন বোলিং ফিগার গড়তে পারেননি আর কোন অভিষিক্ত ইংরেজ স্পিনার। এই অর্জনের অনেকটা কৃতিত্ব তাই প্রযুক্তিকে দিতেই হচ্ছে।

তবে মূল দায়িত্ব কিন্তু রব কিন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর বেন স্টোকস নিয়েছিলেন। তাঁরা দলের নেতৃত্বে আসার পরেই বদলে গিয়েছে দৃশ্যপট। শেষ ১৯ টেস্টের পনেরোটিতেই জিতেছে ব্রিটিশরা, হেরে যাওয়া চার টেস্টের তিনটিতেই আবার লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। অর্থাৎ সাদা পোশাকে একটা বিপ্লব সৃষ্টি করেছে স্টোকস, ম্যাককালামের ইংল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link