তলানীর লড়াইয়ে বিজয়ী সিলেট

দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষেই এই আসরের প্রথম জয় পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স, দিন কয়েক পরে আবারো ঢাকাকে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেলো তাঁরা। বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের কল্যাণে পাঁচ উইকেটের জয় পেয়েছে দলটি, আর এর মধ্য দিয়ে টানা ষষ্ঠ পরাজয়ের স্বাদ পেলো রাজধানীর প্রতিনিধিরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা শুরুতেই ধাক্কা খায়, প্রথম ওভারেই ফিরে যান ওপেনার সাব্বির হোসেন। এরপর অবশ্য সাইফ হাসান আর নাইম শেখের ব্যাটে তৃপ্তি খুঁজে পায় দলটি। এই দু’জনেই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে, দশ ওভারের মাঝে স্কোরবোর্ডে জমা হয় আশি রান।

কিন্তু এগারোতম ওভার থেকে দৃশ্যপট বদলে যায়, ৪১ রান করা সাইফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন বেনি হাওয়েল। পরের ওভারে ফেরেন ৩৬ করা নাইমও। তখনি কি যেন হলো, আসা যাওয়ার মিছিল শুরু করলেন বাকি ব্যাটাররা। অ্যালেক্স রস, সাইম আইয়ুবরা কিছুই করতে পারেননি এদিন।

শেষপর্যন্ত আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে না পারায় উড়ন্ত সূচনা পেয়েও বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয় তাসকিন আহমেদের দল। শেষ দশ ওভারে স্রেফ ৪২ রান তোলায় ১২৪ রানেই থামে তাঁদের ইনিংস।

ছোট পুঁজি ডিফেন্ড করতে নেমে শরিফুল ইসলাম রীতিমতো আগুন ঝরান নতুন বলে। প্রথম ওভারে সামিত প্যাটেলকে শিকারের পর ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে হ্যারি টেক্টর আর জাকির হাসানের উইকেট তুলে নেন তিনি। তাঁর অবিশ্বাস্য স্পেলে পাওয়ার প্লের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

একপ্রান্ত আঁকড়ে লড়াই করে যান শান্ত, তাঁর ব্যাটে ভর করেই ম্যাচে টিকে থাকে দলটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউটের শিকার হন তিনি, ৩৩ রান করে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। এর আগে অধিনায়ক মিথুন ১২ বলে ১৭ রান করে আউট হয়েছিলেন। তবে দলকে বিপদে পড়তে দেননি দুই বিদেশি বেনি হাওয়েল ও রায়ান বার্ল। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে তাঁরা এগিয়ে গিয়েছেন জয়ের দিকে।

শেষপর্যন্ত এই দুজনের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিতে এক ওভার হাতে রেখে নির্ধারিত লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মিথুনের দল। এই জয়ে টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখলো তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link