এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিবের দায়িত্ব পালন করা জয় শাহ সভাপতি পদে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে এসিসির সভাপতির দায়িত্ব পান নাজমুল হাসান পাপন। ২০২০ সালেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল পাপনের মেয়াদ। এসিসির সভাপতির পদে দুই বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু করোনার কারণে সময় মতো নির্বাচন করতে পারেনি এসিসি। অবশেষে গতকাল ভার্চুয়ালেই বার্ষিকী সভা শেষে জয় শাহকে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেয় এসিসি।
জয় শাহকে সভাপতি করে এসিসি তাদের অফিসিয়ার টুইটে জানায়, ‘আনন্দের সঙ্গে এসিসি জানাচ্ছে যে বিসিসিআই এর সচিব জয় শাহ এসিসির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই পদে জয় শাহ সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে এসিসি সামনের দিনগুলোতে এই অঞ্চলের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
নতুন দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জয় শাহ। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সকল সহকর্মীকে। তিনি বলেন, ‘আমি এই সম্মান গ্রহণ করছি। আমাকে এই সম্মানজনক পদে যোগ্য বলে বিবেচনা করার জন্য এবং আমাকে মনোনীত করার জন্য, আমি বিসিসিআইয়ে আমার সম্মানিত সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।’
ভারত ও পাকিস্তানের ভিতর বড় ধরণের কূটনৈতিক বিষয় রয়েছে। এশিয়া কাপ আয়োজনের সময় প্রতি বছরই ভারতের পক্ষ থেকে অবহেলা দেখা যায়। এমনকি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্যও তাঁরা এশিয়া কাপ খেলতে রাজি হয় না! এসিসির নতুন সভাপতি এগুলোকেই চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিচ্ছেন। জানিয়েছেন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার কথা।
তিনি বলেন ‘আমার লক্ষ্য থাকবে এশিয়ান ক্রিকেটকে আরও সংগঠিত, ক্রিকেটের উন্নয়ন ও তা সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া। ক্রিকেটের শক্তিশালী কিছু দলের মধ্যে এসিসি একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা ধরে রেখেছে এবং সেটা নিয়ে এগিয়ে যাবে। আমাদের অবশ্যই দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হবে এশিয়ার ক্রিকেটের সর্বোপরি উন্নয়নের জন্য। এই মহামারী অনেক চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে। তবে ইতিহাস বলছে চ্যালেঞ্জের মুখেই নতুন দরজা উন্মোচিত হয়। আমাদের এর সাথে মানিয়ে নিয়ে নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যেতে হবে।’
নতুন সভাপতি জয় শাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি।শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘এটা এসিসিতে এক স্বাভাবিক পরিবর্তন। এবার বিসিসিআইয়ের পালা এবং এসিসি সভাপতি কে হবেন তাতে তাদের ইচ্ছের অগ্রাধিকার রয়েছে। তার জন্য আমার শুভেচ্ছা।’