ফিনিশার মাহমুদউল্লাহ এখনও সেরা

টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ভাল কিছু করতেই হতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। সেটাই করেছেন তিনি, ফরচুন বরিশালের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকায় তাঁকে সফল বলা চলে। তাই তো দলটির টিম ডিরেক্টর এবং বাংলাদেশের এক সময়ের কোচ ডেভ হোয়াটমোর বিশ্বাস করেন, জাতীয় দলের ফিনিশার হওয়ার বড় দাবিদার এই ব্যাটার।

হোয়াটমোরের মতে, চাপের মুহুর্তে দলকে জেতানো কিংবা ইনিংসের শেষটা ভালভাবে করার ক্ষেত্রে রিয়াদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা এবং সামর্থ্য আছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই সংস্করণে পাওয়ার হিটিং দরকার, যা তাঁর মাঝে ভালভাবেই আছে। যদি তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে সে নিশ্চিতভাবেই বলবে উপরে ব্যাট করার কথা, বড় রান করার কথা। তবে সে রান তোলার গতি বাড়াতে বেশ দক্ষ।’

সেজন্য এই ডান-হাতিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়, এমনটা জানিয়ে সাবেক এই কোচ বলেন, ‘তাঁকে আসলে একাধিক উপায়ে ব্যবহার করা যায়। আমার ধারণা সে আগে ব্যাট করতে এসে বড় রান করতে পারবে। অথবা ইনিংসের শেষদিকে এসে বাউন্ডারি হাঁকাবে, রানের গতি বাড়াতে পারবে।’

সাইলেন্ট কিলারের বয়স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফিনিশার ভূমিকার সাথে বয়সের সম্পর্ক আছে নাকি? আমার তো মনে হয় তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ। আপনারা তো জানেনই এই পজিশনে ব্যাট করার জন্য আলাদা দক্ষতা প্রয়োজন, মানসিকতার একটা ব্যাপারও আছে। এসব ক্ষেত্রে তাঁকে তাঁর অভিজ্ঞতা সাহায্য করে।’

হোয়াটমোর আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খুবই অ্যাথলেটিক এবং তারুণ্য নির্ভর খেলা। কিন্তু এখানেও অভিজ্ঞদের মূল্য আছে। আমার বিশ্বাস মাহমুদউল্লাহ আরও কয়েক বছর এই ফরম্যাটে খেলতে পারবে, যদিও ফর্ম নির্ধারণ করবে সবকিছু।’

২০২৩ সালে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন রিয়াদ, তবে বছর ঘুরতেই এখন সাদা বলের স্কোয়াডে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বনে গেছেন তিনি। এজন্য তাঁর এপ্রোচের বদলকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন বরিশালের কোচ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যালি সে আগের মতই আছে, মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছে শুধু। আগে সে বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করতো, এখন কিন্তু সব পরিস্থিতিতে শট খেলার জন্য প্রস্তুত থাকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link