তরুণ একজন ব্যাটার অনুশীলন করছেন নেটে, একটু দূরেই ক্যামেরা নিয়ে ছোটাছুটি করছেন আরেক ভদ্রলোক। সম্পর্কে তাঁরা শ্যালক-দুলাভাই, দুলাভাইকে আপনি না চিনলেও শ্যালককে চেনার কথা। তিনি সদ্য জাতীয় দলে ডাক পাওয়া জাকের আলী অনিক, আর তাঁর দুলাভাই হলেন ক্যামেরাম্যান হয়ে ওঠা মামুন।
আদরের শ্যালক প্রথমবারের মত জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছে, আনন্দের এই স্মৃতি ফ্রেম বন্দী করতেই মামুন সিলেটের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সময় কাটিয়েছেন অনেকক্ষণ। এর পিছনে উদ্দেশ্য একেবারে সাদামাটা, একটা ভাল ছবি তুলে স্মরণীয় করে রাখবেন বিশেষ এই মুহূর্ত।
এর আগে অনেকবারই তো জাকের আলীর ছবি তুলেছেন দুলাভাই মামুন। কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা একেবারে নতুন; আরাধ্য স্বপ্নটা পূরণ করেছে প্রিয় ছোট ভাই, এমন সফলতা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তাই তো মামুনের চোখেমুখে উপচে পড়েছিল খুশির ঝিলিক, চোখে ভেসে ওঠা মুগ্ধতা হার মানিয়েছিল ক্যামেরার লেন্সকেও।
বাস্তবজীবনে তিনি চিত্র সাংবাদিক, মাঠে-ঘাটে ঘুরে-ফিরে ছবি তোলা তাঁর নেশা এবং পেশাও বটে; বর্তমানে জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজে কর্মরত আছেন। আপাতত নিজের কর্মজীবনের কথা অবশ্য মাথায় নেই এই সাংবাদিকের, তিনি বুঁদ হয়ে আছেন প্রত্যাশার সাগরে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে অনেক দূর যাবেন জাকের, এমনটাই আশা তাঁর।
যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে শুরুতে ডাক পাননি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলতে হয়, অফ স্পিনার আলিস আল ইসলাম হুট করে ইনজুরিতে পড়ায় টিম ম্যানেজম্যান্ট তাঁকে দলে জায়গা করে দেয়। মূলত প্রথমে ঘোষিত স্কোয়াডে ব্যাটার কম থাকায় পরবর্তীতে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
অবশ্য নিজেকে প্রমাণ করেই বাংলাদেশ দলে এসেছেন অনিক। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দারুণ একটা বিপিএল কাটিয়েছেন তিনি, এখন সময় এসেছে দেশের হয়ে পারফর্ম করার। সেজন্য নিশ্চয়ই পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।