ব্যাটিং স্বর্গে আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। একাধিক ব্যাটার সেট হয়ে উইকেট দিয়ে আসায় ৩০০ রানের গন্ডি পেরুনো হয়নি দলের পক্ষে, বল হাতেও ভাল শুরু পেয়ে ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন উইকেটের পরাজয় বরণ করতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।
আগে ব্যাট করতে নেমেও ভাগ্য বদলায়নি লিটন দাসের, আগের ম্যাচের মত এদিনও শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার দলকে বিপদে পড়তে দেননি, অধিনায়ক নাজমুল শান্তকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তিনি। দু’জনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে লঙ্কান বোলারদের উপর চাপ বাড়ে। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে শান্ত ফিরলে ভাঙ্গে তাঁদের ৭৫ রানের জুটি।
সৌম্য অবশ্য অবিচল ছিলেন, ৫২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেন, কিন্তু ৬৮ রানের মাথায় তাঁকে থামান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এই হাসারাঙ্গার কাছেই এরপর আটকা পড়েন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ত্রাতা হয়ে আসেন তাওহীদ হৃদয়, একপ্রান্ত আগলে স্বাগতিকদের ভরসা হয়ে ছিলেন তিনি।
লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেছেন এই তরুণ, তানজিম সাকিবের সঙ্গে মিলে ৪৭ রান যোগ করেন বোর্ডে। সাকিবের বিদায়ের পর আরো তাসকিনের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৯৬ রানে, তাতেই ২৮৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বল হাতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল। নতুন বল হাতে শ্রীলঙ্কান টপ অর্ডারকে ধ্বসিয়ে দেন তাঁরা, ৪৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন দিশেহারা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। কিন্তু পাথুম নিশাঙ্কা আর চারিথ আসালঙ্কা হাল ছাড়েননি, উল্টো কাউন্টার এটাক শুরু করেন। দু’জনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় দলটি।
মেহেদি মিরাজ যখন নিশাঙ্কাকে আউট করেন ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ব্যক্তিগত ১১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার, তার আগে দলের জয় নিশ্চিত করে যান তিনি। আসালঙ্কা অবশ্য সেঞ্চুরি থেকে নয় রান দূরে থাকতে থামেন তাসকিনের বলে। এরপর ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল টাইগাররা, যদিও শেষমেশ সফলতার মুখ দেখা যায়নি।
সপ্তম উইকেটে দুনিথ ওয়েল্লালেগে ও হাসারাঙ্গার ৩৪ রানের জুটিতে জয় পায় লঙ্কানরা। তিন উইকেটের এই জয়ে সিরিজে সমতা ফিরে এসেছে, এখন অপেক্ষা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের।