বঞ্চিত সাঞ্জুর হাতে রাজস্থানের বিজয়ী পতাকা

জাতীয় দলে তিনি বঞ্চিত। ফর্ম থাকার পরও সুযোগ হয় না জাতীয় দলে। তবে, আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে সাঞ্জু স্যামসন জ্বলে উঠবেন এটা এখন ধ্রুব সত্য। গত চার আসরেই দলের উদ্বোধনী ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি; ব্যতিক্রম হয়নি এবারও, রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে আরো একটি বিধ্বংসী ইনিংস। তাতেই লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ২০ রানের জয় পেয়েছে দলটি।

আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান শুরুতেই হারিয়েছিল জস বাটলারের উইকেট। তবে ইনফর্ম যশস্বী জয়সওয়াল পাওয়ার প্লের পূর্ণ ফায়দা তুলেছেন। তাঁর এনে দেয়া মোমেন্টাম এরপর কাজে লাগিয়েছেন স্যামসন; রিয়ান পরাগকে সঙ্গে নিয়ে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী ঘটিয়েছিলেন তিনি।

দু’জনের কল্যাণে এগারো ওভারেই দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করে। ৪৩ রান করা পরাগকে আউট করে ৯৩ রানের এই জুটি ভাঙ্গেন নাভিন উল হক। তবে অধিনায়ক সাঞ্জু ছুটেছেন আপন গতিতে, ধ্রুব জুরেলকে সঙ্গী করে শেষ ওভার পর্যন্ত শাসন করেছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের।

শেষপর্যন্ত ৫২ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, অন্যপ্রান্তে জুরেল করেন ১২ বলে ২০ রান। ততক্ষণে ১৯৩ রানের বিশাল পুঁজি জমা হয়েছিল রাজস্থানের বোর্ডে। এই লক্ষ্য তাড়না করে জিততে হলে দরকার ছিল উড়ন্ত সূচনার।

অথচ জবাব দিতে নেমে লখনৌ প্রথমেই ট্রেন্ট বোল্টের তোপের মুখে পড়ে, পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট শিকার করেন এই কিউই। অভিষিক্ত নান্দ্রে বার্গার এরপর আরো একটি উইকেট তুলে নিলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলটি। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল সেখান থেকে হাল ধরেন, দীপক হুদার সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন তিনি।

তখনো জয়ের স্বপ্ন দেখার সাহস হয়নি লখনৌর, কিন্তু নিকোলাস পুরান বাইশ গজে আসতেই বদলে যায় সবকিছু। একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি, তাঁর সাথে যোগ দেন রাহুলও – দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাহাড়সম লক্ষ্যটা হাতের নাগালে চলে আসে।

শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০ রান। কিন্তু সন্দ্বীপ শর্মার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এই সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি রাহুল-পুরানরা। জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতেই থামতে হয় তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link