পুরনো চাল ভাতে বাড়ে – তাঁরই প্রমাণ যেন উমেশ যাদব। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ভারতীয় ডান-হাতি বোলার উমেশ যাদবের অভিজ্ঞ বোলিংয়ের উপর ভর করে জয় তুলে নেয় গুজরাট টাইটান্স।
আহমেদাবাদে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হয় গুজরাট টাইটান্স আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাইয়ে খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয় সূচনা হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার। এবার রোহিত শর্মার পরিবর্তে তাঁকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় মুম্বাই। তবে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় পান্ডিয়ার দল। ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করতে সমর্থ হয় মুম্বাই।
গুজরাটের কোচ আশীষ নেহরার পরামর্শে শেষ ওভারের জন্য অধিনায়ক শুভমান গিল বল তুলে দেন অভিজ্ঞ উমেশ যাদবের হাতে। উমেশের শেষ ওভারটি ছিল- ৬, ৪, উইকেট, উইকেট, ১ এবং ১।
১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক। দ্বিতীয় বলে কভার অঞ্চলের দিকে ব্যাট চালিয়ে বল পাঠিয়ে দেন সীমানার দিকে, চার রান। তবে উমেশ তৃতীয় বলটি করেন শর্ট লেন্থে। পুল শট খেলতে গিয়ে, বল আকাশে ভাসিয়ে দেন হার্দিক।
তালু বন্দি করতে একটুও ভুল করেন না রাহুল তেওয়াতিয়া। চতুর্থ বলে আবার আঘাত হানেন উমেশ। আবারও শর্ট লেন্থের বল এবং পুল শট খেলতে গিয়ে আউট হন পীযূষ চাওলা। উমেশের হ্যাট্রিকের সুযোগ আর মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ২ বলে ৯ রান। পঞ্চম বলে মুম্বাই মাত্র ১ রান নেয়াতে গুজরাটের জয় দৃশ্যমান হতে শুরু করে। শেষ বলেও উমেশ মাত্র ১ রান দিয়ে গুজরাটের জয় নিশ্চিত করেন।
তিন ওভার বোলিং করে ১০.৩৩ ইকোনমিতে ৩১ রান দিয়ে উমেশ নেন দুইটি উইকেট। যদিও তাঁর ইকোনমি রেট তেমন সন্তোষজনক নয়। তবে তাঁর স্পেলে মোট ৯টি বলই দেন ডট। আর শেষ ওভারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ মোড় ঘুড়িয়ে দেন তিনি।
শেষ ওভারে বল করা প্রসঙ্গে উমেশ বলেন, ‘আসলে আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আশু পাজি (আশিষ নেহরা) বললেন, তুমি শেষ ওভার করবে। প্রথম দুই বলেই বাউন্ডারি দেয়ার পর শুভমান আমার কাছে আসে এবং বলে, চিন্তা করবেন না। আপনি ভাল করছেন। দলের অধিনায়ক আর সতীর্থরা যখন আপনার উপর বিশ্বাস রাখে, তখন কঠিন ম্যাচও সহজ হয়ে যায়।’