ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে সুনীল নারাইনের আগমন ঘটেছিল রহস্যময় স্পিনার হিসেবে। স্পিন ভেলকিতে এরপর ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও রাজ করেছেন। হঠাৎ করে রহস্যময় ওপেনার হয়ে উঠার সুযোগ আগে তাঁর সামনে, হুটহাট ওপেনিংয়ে বোলারদের বোকা বানাতে শুরু করেন তিনি। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে বোলারদের স্রেফ বোকা বানাননি এই তারকা, বাধ্য করেছেন অসহায় আত্মসমর্পণ করতে।
দিল্লির ঘরের মাঠে এদিন ৩৯ বলে ৮৫ রান করেছেন তিনি; সমান সাতটি করে চার ও ছয় এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। অর্থাৎ কেবল ১৪ বল থেকেই ৭০ রান আদায় করেছেন। যেকোনো ধরনের টি-টোয়েন্টিতে এটিই উইন্ডিজ অলরাউন্ডারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।
শুরুতে অবশ্য আগ্রাসী ছিলেন না তিনি; প্রথম রান করতেই লেগে গিয়েছিল ছয় বল। কিন্তু রানের খাতা খোলার পরেই ভিন্ন রূপে আবির্ভাব ঘটে তাঁর; ইশান্ত শর্মার এক ওভারেই তিনটি ছয় আর দুইটি চার হাঁকান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। প্রায় একইভাবে ঝড় তুলেন রাসিক ধার সালামের ওভারে, এই ওভারে আসে ১৮ রান। এর মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, তখন কেবল ২১ বল মোকাবিলা করেছিলেন।
ফিফটি করার পরও তুষ্ট হননি নারাইন; ঝড়ো ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী চালিয়ে গিয়েছেন আরো অনেকক্ষণ। নিয়মিত বাউন্ডারির মারে পৌঁছে গিয়েছিলেন আশির ঘরে, যদিও শেষপর্যন্ত সেঞ্চুরি করা হয়নি তাঁর। তবে আউট হওয়ার আগে কাজের কাজটা করে গিয়েছিলেন তিনি।
যেই পরিকল্পনায় তাঁকে ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছে সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি সফল করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষেও দারুণ ব্যাট করেছিলেন তিনি; সেই ম্যাচে ২২ বল খেলে করেছিলেন ৪৭ রান। ফলে ম্যাচসেরার পুরষ্কারও উঠেছিল তাঁর হাতে।
গৌতম গম্ভীর থাকাকালীন প্রথমবার সুনীল নারাইনকে ওপেনিংয়ের জন্য বিবেচনা করেছিল কলকাতা। এবার আবার পুরনো ঠিকানায় ফিরেই গম্ভীর পুরনো ট্যাকটিক্স ফিরিয়ে এনেছেন; ভরসার প্রতিদানও দারুণভাবে দিয়ে যাচ্ছেন নারাইন। টুর্নামেন্ট জুড়ে তাঁর এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখতেই এখন মুখিয়ে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীরা।