সল্টের ব্যাটে পরাজয়ের নোনতা স্বাদ পেয়েছে লখনৌ

জেসন রয়ের মত অভিজ্ঞ ব্যাটার ছিলেন, ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজের মত টি-টোয়েন্টি কাঁপানো তরুণ তুর্কি – তবু কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশে বেছে নিয়েছিল ফিল সল্টকে, সুনীল নারাইনের সঙ্গে তাঁকেই সুযোগ দিয়েছিল ওপেনিংয়ে নামার। কেন এতটা ভরসা তাঁর ওপর করেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট, সেই উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন; ঘরের মাঠে দলকে উপহার দিয়েছেন দারুণ এক জয়।

মাত্র ৪৭ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন ইংলিশ ব্যাটার। এই ইনিংস খেলার পথে কেবল তিনটি ছয় মারলেও চার মেরেছেন গুণে গুণে চৌদ্দটি। তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের কল্যাণে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মাঝারি মানের লক্ষ্য ২৬ বল আর আট উইকেট হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল; জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন এই ডানহাতি, শামার জোসেফকে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন। নারাইন কিংবা আঙকৃষের দ্রুত বিদায় তাঁকে চাপে ফেলতে পারেনি, উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তাতেই ক্রমাগত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লখনৌ।

পাওয়ার প্লে যখন শেষ হয়, তখন প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩০ রান করে ফেলেছিলেন এই তারকা। এরপর বাউন্ডারিতে ফিল্ডারের সংখ্যা বাড়লেও রান তোলার গতি কমেনি তাঁর। পরের দশ বলেই ২০ রান আদায় করেন তিনি, পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ম্যাচের বাকি সময়ও আগ্রাসী মেজাজে দেখা গিয়েছে তাঁকে; প্রতিপক্ষ বোলাররা লড়াইয়ে ফেরা তো দূরে থাক, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগও পাননি।

এর আগে যদিও লোকেশ রাহুলের দল ব্যর্থ হয়েছিল দলীয় সংগ্রহে বড় পুঁজি জমা করতে। অধিনায়ক রাহুলের মাত্র ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি তাঁরা। তবে মিডল অর্ডারে আয়ুশ বাদোনি ২৭ বলে ২৯ আর নিকোলাস পুরান ৩২ বলে ৪৫ রান না করতে পারলে হয়তো এতদূরও আসতে হতো না তাঁদের।

গত আইপিএলে শুরুর ছয় ওভারে উইকেট হারানোর দিক দিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের পরেই ছিল কলকাতা। কিন্তু এবার ম্যাচের এই সময়টাতে সবচেয়ে কম উইকেট হারানো দল তাঁরা। তাছাড়া চলতি আসরে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রান রেটও তাঁদের – এসবকিছুর জন্য ফিল সল্ট বড় সড় একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন ভক্ত-সমর্থকদের কাছ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link