‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার’ দর্শকদের আনন্দ বাড়ান, কোচদের দেন দু:স্বপ্ন

ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার অর্থাৎ এমন এক খেলোয়াড় যিনি দলের জয়ে রাখবেন বাড়তি ভূমিকা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিয়মটি চালু হয় ২০২৩ সালে। তারপর থেকেই চলে নানান রকমের আলোচনা-সমালোচনা।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের কাছে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নীতি এক দুঃস্বপ্নের নাম। তবে তিনি মনে করেন যদি তা দর্শকদের বিনোদন দিতে সক্ষম হয় তবে তা রাখা উচিত।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দুইভাবে এর উত্তর দিতে পারি। প্রথমত, যদি এটি ক্রিকেট ভক্তদের বিনোদন দিতে সক্ষম হয় তবে তা চালিয়ে যাওয়া উচিত। আবার, সাধারণ দর্শকরা এতে বিভ্রান্ত হতে পারেন। তারা বুঝতে পারবেন না হচ্ছেটা কি। যদি তেমন কিছু হয় তবে এই বিষয়ে আপনাকে আবার ভাবতে হবে। নতুন কিছু চালু করলে দিনশেষে আপনাকে সেটার কার্যকরিতা নিয়ে ভাবতে হবে।’

বিশ্বকাপ জয়ী এই অজি অধিনায়ক ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নীতিতে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। ২০২৩ সালে চালু হওয়া এই নীতিকে সকল  কোচ, অধিনায়ক সম্মতি জানালেও এই বছর অনেকেই বিরোধীতা করছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচবারের আইপিওএল শিরোপা জয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা অন্যতম।

মাইকেল ভন এবং অ্যাডাম গিল্ক্রিস্টের উপস্থাপনায় একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে রোহিত জানান, তিনি ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নীতির ভক্ত নন। কেননা, এটি ভারতের অলরাউন্ডারদের উন্নতির জন্য ক্ষতিকারক।

রোহিতের সুরে গলা মিলিয়ে পন্টিং বলেন, ‘এটি খেলোয়াড় এবং কোচের জন্য সহজ কাজ হবে যদি সেরা একাদশ সাজাতে বলা হয়। কেননা, আপনি ১১ জন খেলোয়াড় নির্বাচিত করবেন এবং তাঁদের নিয়েই কাজ করবেন। তবে আমরা ট্রেনিংয়ের পর রাতে আবার বসবো। যেখানে অতিরিক্ত পাঁচজন ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে দুটি দল সাজাতে হবে। যা অনেকটা দু:স্বপ্নের মতোই। তবে তা করার জন্য আরো সহজ উপায় আছে। আপনি বিভিন্ন কম্বিনেশনে দল সাজিয়েও তা করতে পারেন।’

তবে এই মৌসুমে  ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার দলে জয়ে বেশ প্রভাব রাখছে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মধ্যকার ম্যাচে মোট ৫৪৯ রানের একটি স্মরণীয় ম্যাচের সাক্ষী হয় ক্রিকেট ভক্তরা। যদিও ব্যাঙ্গালুরু সেই ম্যাচ ২৫ রানে হেরে যায়।

ঐ ম্যাচের পর পন্টিং সুর পরিবর্তন করে বলেন, ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রাখা উচিত। যদি তাঁরা দলের জয়ে প্রভাব রাখে এবং দর্শকদের বিনোদন দিতে সক্ষম হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link