এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রতি ম্যাচে বিরাট কোহলির রান যতই বাড়ছে, তাঁর স্ট্রাইক ততই কমে যাচ্ছে। আর তা নিয়েই যত উদ্বেগ ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের। কেননা, টি-টোয়েন্টিতে একজন ব্যাটারের স্ট্রাইক রেটই মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
কথায় আছে, উইন অর লুজ, বিরাট কোহলি অলওয়েজ ইন দ্যা নিউজ। অর্থাৎ খেলায় জয়-পরাজয় যাই থাকুক না কেনো, কোহলি সবসময়ই থাকবেন শিরোনামে। প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন রান। এখন পর্যন্ত কমলা ক্যাপটি তাঁর দখলে।
৪৩০ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে বিরাট কোহলির নাম। তবে রানের নেশায় বুদ হয়ে কোহলি হয়তো নিজের স্ট্রাইক রেটের কথাই ভুলে গিয়েছেন। সর্বশেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে করেন ৫১ রান।
তবে, তা করতে খরচ করেন ৪৩ বল। অর্থাৎ ১১৮.৬০ স্ট্রাইক রেটে তিনি তাঁর অর্ধশতকের এই ইনিংসটি খেলেছেন। মাত্র পাঁচটি বলে তিনি বাউন্ডারি হাকান, চারটি চার এবং একটি মাত্র ছক্কা ছিল তাঁর এই ইনিংসে।
কোহলির এই ধীরগতির ইনিংসটি নজর এড়ায়নি কারোরই। তাই তো সুনীল গাভাস্কারের মত কিংবদন্তীও জানালেন তাঁর উদ্বেগ। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে কোহলি তাঁর ইনিংসের প্রথম ১৮ বলে করেন ৩২ রান।
যেখানে তিনি চারটি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান। পাওয়ার প্লেতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সংরহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৬১ রান। তবে যখনি রজত পতিদার ২২ গজে স্ট্রাইকের দায়িত্ব নেন, তখনই কোহলি তাঁর ইনিংস ধীর করে দেন। তিনি ১৯ বলে করেন মাত্র ২৫ রান। আর তাতেই বেশ বিচলিত হয়েছেন কিংবদবন্তী সুনীল গাভাস্কার।
কোহলির ধীর গতির ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধুই এক রান, এক রান, এক রান করে এগোচ্ছে কোহলি। যেখানে দীনেশ কার্তিক, মহীপাল লমরোরের মত ব্যাট করার অপেক্ষায় আছে। তাঁকে (কোহলি) এখন ঝুঁকি নিয়ে ব্যাট করতে হবে। পতিদারের দিকে দেখুন। সে (পতিদার) এক ওভারেই তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছে। সে যদি চাইতো, তবে সেও এক রান করে নিতে পারতো অথবা ওয়াইড বলের আশায় বল ছেড়ে দিতে পারতো। কিন্তু সে তাঁর সব সুযোগই কাজে লাগিয়েছে, ঝুঁকি নিয়েছে।’
এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাঙ্গালুরুকে এখন এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে ব্যাট করতে হবে। কোহলির উচিত বড় শট খেলার চেষ্টা করা।’
টানা হাফডজন হারের পর জয়ের ধারায় ফিরে এসেছে ব্যাঙ্গালুরু। আগামী ম্যাচগুলোতে কোহলিও উচ্চ স্ট্রাইক রেটের ধারায় ফিরে আসবে বলে আশা করছে তাঁর ভক্তরা।