এক বছর আগের ফাইনালেই তিনি ছুতে পারতেন অমরত্ব। কিন্তু,অল্পের জন্য জেতাতে পারেননি দল গুজরাট টাইটান্সকে। তবে, সাই সুদর্শনের দর্শনীয় ব্যাট লড়াই করতে ভুলেনি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ধারাবাহিকভাবেই নিজের জাতটা চিনিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গুজরাট টাইটান্সের এই ব্যাটার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে আবারো রাখলেন তাঁর প্রমাণ। আরো কিছুক্ষণ ২২ গজে থাকতে পারলে হয়তো নিজের অভিষেক শতকের দেখাও পেয়ে যেতেন।
শতকের দেখা পাননি ঠিকই। তবে আইপিএলে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮৪ রান করে মাঠ ছাড়েন গুজরাটের এই টাইটান। এই ইনিংস গড়তে তিনি খরচ করে ৪৯ বল। যেখানে ছিল ৮ টি চার এবং ৪ টি ছক্কার মার। বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের স্ট্রাইক রেটও ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৭১.৪৩ স্ট্রাইক রেটে এই ইনিংস খেলেন তিনি।
টসে জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ব্যাটিংয়ে পাঠায় গুজরাটকে। তবে প্রথমেই হোচট খায় গুজরাটের ব্যাটাররা। দ্রুতই সাঝ ঘরে ফেরেন দুই ওপেনার। দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন সাই সুদর্শন এবং শাহরুখ খান। গড়ে ওঠে জুটি, পায়ের নিচে মাটি পায় গুজরাট। আর দুজনই তুলে নেন নিজেদের অর্ধশতক।
মোহাম্মদ সিরাজের বলে শাহরুখ বোল্ড হয়ে সাঝঘরে ফিরে যান ম্যাচের পনেরতম ওভারে। তবে দেখে শুনে খেলতে থাকেন সুদর্শন। ডেভিড মিলারকে সাথে নিয়ে গুজরাটের রানের চাকা সচল রাখেন সুদর্শন। আবারো পার্টনারশীপ গড়ে তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ডেভিড মিলারের সাথে।
ব্যক্তিগত ৮০ রানে জীবন পান সুদর্শন। মোহাম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন উইল জ্যাক্স। সুদর্শন- মিলার অপরাজিত থেকে মোট ২০০ রানে গুজরাটের ইনিংস শেষ করেন।
এবারের আইপিএলে শুধুমাত্র একটি ইনিংসেই ত্রিশের নিচে রান করেছেন গুজরাটের এই বাঁ-হাতি। বাকি ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকভাবেই রান আসছে তাঁর ব্যাট থেকে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে রান করার ফলের দলে তাঁর চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে রান করতে থাকলে হয়তো শীঘ্রই পেয়ে যাবেন তাঁর অভিষেক শতকের দেখা।