নিকোলাস পুরান, লখনৌর ভরসা

ক্রিকেট বিশ্বকে পাওয়ার হিটার উপহার দেয়ার জন্য বাড়তি খ্যাতি রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের পর আগমন ঘটেছে নতুন নতুন পাওয়ার হিটারের; দুনিয়াজুড়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। বিধ্বংসী পাওয়ার হিটারের এই তালিকায় সবচেয়ে পরিচিত নামের একটি নিকোলাস পুরান – চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) নিজের খ্যাতির যৌক্তিকতা প্রমাণ করছেন তিনি।

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নিয়মিত রান আসছে তাঁর ব্যাটে, এরই ধারাবাহিকতায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেললেন এই ব্যাটার। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়া লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন, লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন।

এদিন পাঁচ নম্বরে নেমে ২৬ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি। প্রায় ১৯০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও অন্য সময়ের মত স্বভাবসুলভ বেশি ছক্কা হাঁকাননি তিনি, বরং চার মারার দিকেই মনোযোগ ছিল। বোঝাই যায়, দায়িত্ব নিয়েই খেলেছিলেন। আয়ুশ বাদোনির সঙ্গে তাঁর অনবদ্য ৯৯ রানের জুটির কল্যাণেই মূলত লখনৌর বোর্ডে জমা হয়েছে ১৬৫ রান।

পুরান যখন বাইশ গজে আসেন তখন ম্যাচের দশ ওভার শেষ, অথচ দলের রান মাত্র ৫৭! খানিক পরে আরো এক উইকেটের পতন ঘটলে চাপ ঘনীভূত হয় অনেকখানি। তবে তরুণ আয়ুশকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ দারুণভাবে সামাল দেন তিনি। দু’জনে সমানতালে শাসন করতে শুরু করেন বোলারদের, এতেই নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছুতে সক্ষম হয় লোকেশ রাহুলের দল।

বিশতম ওভারে প্যাট কামিন্সের চার বল থেকে তিনটি চার সহ ১৪ রান আদায় করেছিলেন উইন্ডিজ তারকা। আইপিএলের অন্যতম ধারাবাহিক বোলারের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংই তাঁর ইনিংসের সবচেয়ে বড় হাইলাইটস হয়ে আছে। হায়দ্রাবাদের জন্য এই লক্ষ্য খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়, অঘটন না ঘটলে তাঁরা বড় ব্যবধানেই জিতবে – তবু তিনি প্রশংসা পাবেন লড়াকু পারফরম্যান্সের জন্য।

চলতি আইপিএলে সাড়ে তিনশর বেশি রান করেছেন এই হার্ডহিটার; স্ট্রাইক রেট ১৬০ এর উপরে আর ব্যাটিং গড় ৬০.৫! দুর্দান্ত পরিসংখ্যান বটে, টুর্নামেন্টের বাকি অংশ তো বটেই, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁর ব্যাট এভাবে হাসবে সেটিই প্রত্যাশা সমর্থকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link