ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ মানেই (আইপিএল) তরুণ প্রতিভার মঞ্চ। অভিষেক পোড়েল সেটা আবারও প্রমাণ করলেন। তিনি অব্যাহত রাখলেন তাঁর রানের ধারা। একের পর এক বিধ্বংসী শটে বিভ্রান্ত করলেন লখনৌয়ের বোলারদের।
দিল্লিতে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয় দিল্লী ক্যাপিটালস। শীর্ষ চারে থেকে এই পর্ব শেষ করতে উভয় দলের জন্যেই প্রয়োজন জয়ের। টসে জিতে দিল্লীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় লখনৌ দলপতি লোকেশ রাহুল। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় দিল্লির ব্যাটাররা।
তবে প্রথম ওভারেই দিল্লি হারায় ফর্মের তুঙ্গে থাকা জেইক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে। তাঁর অনুপস্থিতি অবশ্য বুঝতেই দেয়নি শাই হোপ আর অভিষেক পোড়েল। ২১ বলেই পোড়েল তুলে নেন অর্ধশতক। এবারের আসরে এটি তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৩৩ বলে খেলেন ৫৮ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। ৫ টি চার এবং ৪ টি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৫ এর উপরে।
লখনৌয়ের আফগান বোলার নাভিন উল হকের এক ওভারেই নেন ১৬ রান। তবে তাঁর আগে দলের তৃতীয় ওভারে আরশাদ খানের ওভার থেকে আদায় করেন ১৯ রান। তাঁর একেকটি শট যেন আগুনের ফুলকি। দলের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে পোড়েল খেলে গেলেন নান্দনিক এক ইনিংস। তবে সেই নাভিনের বলেই ক্যাচ তুলে দেন নিকোলাস পুরানের হাতে। পুরান সেই সুযোগে কাজে লাগাতে একটু ভুল করেন না, তালুবন্দি করে সাঝঘরে ফেরান মারমুখী এই ব্যাটারকে।
তবে যাওইয়ার আগে শাই হোপের সাথে গড়েন ৯২ রানের এক বিধ্বংসী পার্টনারশীপ। যা দলের বিশাল সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়। হোপ আউট হওয়ার পরেও দলপতি ঋষভ পান্তকে নিয়ে আরো কিছু রান যোগ করে যান এই বাঁ হাতি ব্যাটার।
আইপিএলের এই লিগ পর্বে বাকি আছে মাত্র কয়েটি ম্যাচ। শিরোপার স্বাদ পেতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ের কোনো বিকল্প নেই দিল্লি ক্যাপিটালসের। তাছাড়া আগামী ম্যাচগুলোতেও অভিষেকের ব্যাট থেকে এমন চার আর ছয়ের ঝড়ই দেখার অপেক্ষায় আছে তাঁর ভক্তরা।