২২ গজে টিকে থাকতে রীতিমত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। টি-টোয়েন্টিতে বেশ অনেক দিন ধরেই তাঁরা ঠিকঠাক নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে লজ্জাকর পরাজয়ের মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণ করলেন।
টি-টোয়েন্টি চমকের খেলা। আর দলটা যদি বাংলাদেশ হয় তবে সেই চমকের পরিমাণ একটু বেশিই থাকে। এই যেমন সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের র্যাংকিংয়ে ১৯ নাম্বারে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পেল ৯ নাম্বারে থাকা বাংলাদেশ। যদিও সেটা একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল। তবে প্রস্তুতিটা টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের। হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র জয় পায় ৫ উইকেটের ব্যবধানে। বাংলাদেশের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য সহজেই টপকে এবারের বিশ্বকাপ আয়োজকরা। তবে বাংলাদেশকে ১৫৩ রান করতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাওহীদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ত্রাতা হিসেবে না দাঁড়ালে স্কোরটা হয়তো আরও কমে যেতে পারতো। টপ অর্ডারের কেউই সেদিন তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। মলিন ছিল অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাটও।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি। শুরুটা ভাল করলেও মাঝ পথে বেশ কয়েকটি উইকেট হারাই। আমার মনে হয় আরও ২০ রানের মত যোগ করতে পারলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত। তাছাড়া আমাদের ব্যাটাররা জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ভাল উইকেটেও আহামরি কোনো পারফর্ম্যান্স করতে পারেনি। তাঁদের সত্যিই বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।’
ব্যাটারদের ফর্ম নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটি পুরোপুরি মানসিক একটা বিষয়। আমার বিশ্বাস তাঁরা আবার ফর্মে ফিরবে। সেই ম্যাচে স্পিনাররা ভাল বোলিং করেছে। কিন্তু শেষ ২-৩ ওভার পেস বোলাররা ঠিকঠাক নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। আশা করি পরবর্তী ম্যাচগুলো তাঁরা ধারাবাহিকতায় ফিরবে।’
বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র কিছু দিন। আর শুরুর আগেই বড় রকমের একটা ধাক্কাই খেল বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা। সব ভুল ঠিক করে তবেই মাঠে নামতে হবে টাইগারদের। তবে এই লজ্জার পরাজয়েও কি টনক নড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেটের?