টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একেবারে শুরুর আসরে ভারত দলে ছিলেন রোহিত শর্মা। বিগত আটটি আসরে তিনি ধ্রুব এক চরিত্র ছিলেন নীল জার্সি-ধারি শিবিরে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নবম আসরেও তিনি থাকছেন। এখন অবধি সবগুলো আসরে অংশ নেওয়া গুটিকতক খেলোয়াড়দের একজন রোহিত।
একেবারে শুরুর দিকে রোহিতের দায়িত্ব ছিল ভিন্ন। ২০০৭ সালে ভারতের চ্যাম্পিয়ন দলের ফিনিশারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এরপর সময়ের পরিক্রমায় নিজের ব্যাটিংকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। সেই পথে তার ব্যাটিং পজিশন থিতু হয়েছে ওপেনিংয়ে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে তার উপরই নির্ভর করবে ভারতের সাফল্য। তিনিই হতে পারেন ভারতের আরও একটি শিরোপা জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি। সেই সামর্থ্য তার মধ্যে রয়েছে। তিনি সেই সামর্থ্যের প্রমাণ প্রতিনিয়ত দিয়ে চলেছেন সর্বত্র।
টি-টোয়েন্টি মেজাজ বুঝে, দলের চাহিদা মিটিয়ে দারুণ সব ইনিংস খেলতে পটু রোহিত শর্মা। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের অন্যতম বার্তাবাহক ভারতীয় অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে তেমন কিছুর প্রতিফলনই ঘটাতে চাইবেন তিনি। কেননা বিগত বিশ্বকাপগুলোতেও যে তিনিই ছিলেন অন্যতম পারফর্মারদের একজন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ২০০৭-২০২২ এই সময়কালে ৩৯ ম্যাচ খেলেছেন রোহিত। ব্যাট করার সুযোগ অবশ্য পেয়েছেন ৩৬ ইনিংসে। সেই ৩৬ ইনিংস থেকে রান করেছেন ৯৬৩। দীর্ঘ এই পথচলায় উত্থান-পতন সবই দেখেছেন রোহিত। সে কারণেই ১২৭ এর আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে তার স্টাইকরেট।
৮ ইনিংস অপরাজিত থাকার সুবাদে ৩৯ গড় রয়েছে নামের পাশে। এছাড়া ৯টি হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মারকুটে এই ব্যাটার। যদিও সেঞ্চুরি না করতে পারার আক্ষেপ তার রয়েই যাবে। তবে এই পরিসংখ্যানে তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিককার সাদামাটা পারফরমেন্সের প্রভাব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যে তিনি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন সেটা নিশ্চয়ই নতুন করে বলবার নয়।
যদিও নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মাকে দেখা যেতে পারে আরও বেশি বিধ্বংসী রূপে। কেননা কোনরকম চমক না ঘটলে এটিই অধিনায়ক রোহিত শর্মার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। তিনি নিশ্চিতভাবেই চাইবেন বিশ্বকাপটা নিজের করে নিতে। ঘরের মাটিতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের ক্ষতকে একটু প্রশমিত করতে চাইবেন নিশ্চিতরূপেই।
আর তেমন ভাবনার রোহিত শর্মা যে ভীষণ ভয়ংকর! সেই রুদ্রমূর্তি হয়েই তিনি অবতীর্ণ হবেন বিশ্বকাপের মঞ্চে, তেমন প্রত্যাশাই এখন সকল ভক্ত সমর্থকদের। তার ‘হিটম্যান’ তকমার যথার্থতা প্রমাণের এর থেকে ভাল সুযোগ হয়ত আর পাবেন না রোহিত। আর রোহিতের বিধ্বংসী রূপ যে ভারতের আশীর্বাদ- তা তো সকলেরই জানা।