টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তুরুপের তাস ধরা হয় লেগ স্পিনারদের। যে কোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন তারা। তাই তো বর্তমান সময়ে লেগ স্পিনারদের কদর যেন একটু বেশিই। সকল দেশই চায় যেন তাদের দলে একজন লেগ স্পিনার থাকে।
তবে, এই দিক দিয়ে বেশ পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে সম্প্রতি রিশাদ হোসেন বাংলাদেশের এই চিন্তা অনেকটাই কমিয়েছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রিশাদের অভিষেক হয় ২০২৩ সালে চট্রগ্রামে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচে তিন ওভার বল করে ১৯ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট পান তিনি। যদিও ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর নানা উত্থান-পতনের মাধ্যমে শেষ হয় ২০২৩ সাল।
২০২৪ এসে রিশাদ বনে যান টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এ বছর বাংলাদেশি বোলাররদের মধ্যে সর্বোচ্চ ওভার (৩৮) বল করেন রিশাদ হোসেন। যেখানে ১২টি উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার তিনি।
সব থেকে অবাক করার বিষয় হলো তার ইকোনামি রেট, ওভার প্রতি মাত্র ৭.৩৪ রান খরচ করেছেন রিশাদ। যা একজন লেগ স্পিনারের জন্য সত্যিই অসাধারণ।
তাঁরই সতীর্থ অফ স্পিনার শেখ মেহেদী যেখানে ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.৪৭। ২৪.৩ ওভার বল করে মেহেদী উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৪ টি তাও ৪৫.৭৫ গড়ে। এ পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় বল হাতে কতোটা অসাধারণ ছিলেন রিশাদ।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলতে পারেন রিশাদ। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সাথে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি তারই প্রমাণ রাখেন। ৩০ বলে ৫৩ রানের সেই ইনিংসে তিনি ছক্কা মেরেছিলেন সাতটি। যা তার ব্যাটিং সক্ষমতার প্রমাণ দেয় ৷ এবছর বাংলাদেশের স্বীকৃত ব্যাটাররা মোট ৯ টি অর্ধ-শতক হাঁকিয়েছেন। রিশাদের কল্যানেই তা দুই অংকের ঘরে পৌঁছায় ৷