বেরিংটনের বিচক্ষণী ব্যাটিংয়ে স্কটিশদের জয়

টি-টোয়েন্টি মানেই তো মানসিকতা নিয়ন্ত্রণের রাখার খেলা। যেকোন ম্যাচকে নিজেদের দখলে আনা যায় যেকোনো মুহূর্তে শুধুমাত্র স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। আর নামিবিয়ার বিপক্ষে সেটার প্রমাণই যেন রাখলেন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রিচি বেরিংটন।

এতদিন স্থির মানসিকতার অধিনায়ক মানেই উঠে আসতো মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা রিকি পন্টিংয়ের নাম। তবে এবার সেখানে যুক্ত হতে পারে স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রিচি বেরিংটনের নামও। নামিবিয়ার বিপক্ষে স্কটিশ এই অধিনায়ক  দেখালেন বিচক্ষণতার পরিচয়। স্নায়ু চাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে।

টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো ম্যাচ মোড় নেয় প্রতি মুহূর্তে। এই যেমন নামিবিয়ার দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে গিয়ে প্রথমেই হোঁচট খায় স্কটল্যান্ড। দলগত রান ৫০ পেরোনোর আগেই দুই স্কটিশ ওপেনার ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। আর তখনই দলের হাল ধরেন স্কটিশ দলপতি রিচি বেরিংটন। দেখে শুনে রানের চাকা সচল রাখতে থাকেন বেরিংটন।

অর্ধশতকের দ্বার প্রান্তে গিয়েও তা পূরণ করতে পারেননি তিনি। নিজের স্বার্থের চেয়ে দলের স্বার্থই আগে, সেই বার্তাই যেন দিতে চাইলেন এই দলপতি। পুরো ইনিংস জুড়ে বেরিংটনের ব্যাটে ছিলো দায়িত্বশীলতার ছাপ। সময় এবং সুযোগ বুঝেই ব্যাট চালিয়েছে তিনি।

২২ গজে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। খেলে যান অপরাজিত ৩৫ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। তাঁর সেই ইনিংসে ছিল দুইটি করে চার এবং ছক্কার মার। ৯ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বেরিংটন বাহিনী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পন্ড হওয়াতে, এবারের বিশ্বকাপে এটিই বেরিংটনদের প্রথম জয়। এই জয়ের ফলে গ্রুপের শীর্ষ স্থান এখন স্কটল্যান্ডের দখলে।

এই জয়ে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়েছে স্কটিশ শিবির। তাইতো আসরের পরবর্তী ম্যাচেও জয়ী হওয়ার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামবে স্কটল্যান্ড। তাঁরা এখন চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করার স্বপ্ন দেখতেই পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link