বিশ্বকাপ শেষেই সব ফাঁস করে দেবেন আফ্রিদি

বিশৃঙ্খলতা বিরাজমান পাকিস্তান ক্রিকেটে, তা বেশ অনেকদিন যাবত। সময়ের সাথে সাথে তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যার ফলাফল এবারের বিশ্বকাপেই পাচ্ছে পাকিস্তান। তবে এসব নিয়ে এখনই মুখ খুলছেন না পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। অপেক্ষায় আছেন এই মেগা ইভেন্টের সমাপ্তির।

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। মন্তব্য করেছেন রমিজ রাজা, কামরান আকমলের মত পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। শহীদ আফ্রিদিও পাকিস্তানের তরুণ পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের সাথে স্থাণীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। সেখানে তাঁরা প্রশ্নের সম্মুখীন হন পাকিস্তান দলের একতা নিয়ে। তবে সাবেক এই অলরাউন্ডার সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

শহীদ আফ্রিদি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে (মোহাম্মদ ওয়াসিম) এবং আমি উভয়ে অনেক কিছুই জানি। তবে তা নিয়ে আমরা খোলাখুলি ভাবে কথা বলতে পারছি না। আমদের নিজস্ব লোকেরাই দলের ঐক্যের পথে প্রধান অন্তরায়।’

আফ্রিদিকে তাঁর জামাতা শাহীন শাহ আফ্রিদির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। শাহীন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখানেও শহীদ আফ্রিদি উত্তর দিতে বিরত থাকেন।

শাহীনের প্রসঙ্গে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি যদি এই বিষয়ে কিছু বলি, তবে লোকে ভাববে আমি তাঁকে সমর্থন করছি, যদিও তেমন কিছুই না। যদি আমার সন্তান কিংবা জামাতা কোনো ভুল করে থাকে; তবে আমি সেটাকে ভুলই বলবো।’

দলে শাহীনের জায়গা গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলের নেতৃত্ব পান শাহীন। তবে এবছরের এপ্রিলেই তাঁর পরিবর্তে আবার বাবর আজমকে অধিনায়ক হিসিবে মনোনীত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি মাত্র সিরিজের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পান শাহীন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে পাকিস্তানের শুরুটা হয় বেশ অপ্রত্যাশিত এবং হতাশাজনকভাবে। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র এবং চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান। আর তাতেই সুপার এইটে যাওয়ার পথটা আরো দুর্গম হয়ে পড়ে তাঁদের জন্য। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাবর-শাহীনদের সামনে। তবে তাঁর আগে দলের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার সমাধান অতি জরুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link