তিন পেসারের পর ডাক আসে তাঁর, তাতে কি? এসেই যেন নিজের অস্তিত্বের কথাই জানান দিলেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। তাঁর হাতে বল তুলে দেয়া মানেই যেন নামিবিয়ার ব্যাটারদের মাথায় হাত।
টসে জেতার ষোল আনা ফায়দা তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৭২ রানে থেমে যায় নামিবিয়ার ইনিংস। অজি বোলাররা একে একে গুড়িয়ে দেয় নামিবিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ। শুরুটা জশ হ্যাজেলউড আর প্যাট কামিন্সরা করে দিয়ে গেলে, জাম্পা আঘাত হানতে শুরু করে নামিবিয়ার মিডল অর্ডারে। একে একে শিকার করেন চারটি উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার দলপতি মিচেল মার্শ তিন পেসারের পর বোলিংয়ে নিয়ে আসেন এই জাদুকরকে। আর নবম ওভারের পঞ্চম বলে জেন গ্রিনকে দিয়ে উইকেট নেয়া শুরু করেন জাম্পা। তাঁর লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দেন নামিবিয়ায়র উইকেটরক্ষক-ব্যাটার গ্রিন।
এই লেগির পরবর্তী শিকার ডেভিড উইজ। হ্যাজেলউডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নামিবিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার। ইনিংসের তেরোতম ওভারে জাম্পা দেখান তাঁর আসল রূপ। সেই ওভারেই তুলে নেন দুই-দুইটি উইকেট। চতুর্থ বলে তাঁর শিকারে পরিণত হন নামিবিয়ার পেসার রুবেন ট্রেম্পলম্যান।
সেই ওভারের শেষ বলটা সরাসরি আঘাত হানে বার্নার্ড স্কল্টজের ষ্ট্যাম্পে। আর ততক্ষণে মাত্র ৪৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধ্বসে গিয়েছে নামিবিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ। অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেট বাগিয়ে নিয়েছেন মোত ৪ টি উইকেট আর খরচ করেছেন মাত্র ১২ রান। যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৩। অবাক করা বিষয় তাঁর করা ২৪ বলের মধ্যে ১৭ টি ডট বল করেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে দুর্দান্ত সময় কাটছে অ্যাডাম জাম্পার। প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন উইকেটের দেখা। আর নামিবিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় পায় মিচেল মার্শ বাহিনী। আর এর মাধ্যমেই গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে যায় অজিরা।