প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলে ছিলেন না তিনি। ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড হেরে যায় ৮৪ রানের বিশাল ব্যাবধানে। তাই তো কিউই অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন তার অভিজ্ঞ বোলার টিম সাউদিকে। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিলেন তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বোলিংয়ে নিয়ে আসেন টিম সাউদিকে। আর তিনি তার অসাধারণ সুইং দিয়ে পরাস্থ করেন ব্যাটারদের। প্রথম ওভারে সাফল্য না পেলেও তার সেই ওভারে মাত্র দুই রান নিতে সক্ষম হয় ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা।
তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই বিপজ্জনক ব্যাটার নিকোলাস পুরানকে সাজঘরে ফেরান সাউদি। কেবলই নিজের স্বরূপে ফিরছিলেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। ওভারে দুই চার মেরে তারই আভাস দিচ্ছিলেন তিনি। তবে সাউদির একটি বলে আবার বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ডেভন কনওয়ের হাতে তালু-বন্দি হন পুরান।
পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে আবারও তাকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন কিউই অধিনায়ক। ব্যাটিং প্রান্তে ছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। ওভারে পরপর তিনটি বলে রান নিতে পরাস্থ হন তিনি। অফ স্ট্যাম্পের বাহিরের চতুর্থ বলটি স্লিপের উপর দিয়ে খেলতে চাইলে ব্যর্থ হয় পাওয়েল। বলটি ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের দস্তানায়। ক্যাচটি তালু-বন্দি করতে কোনো ভুল করেন না কনওয়ে।
ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে তিন ওভার বল করে দুই উইকেট নেন সাউদি। রান দেন মাত্র ১১। তবে শেষে গিয়ে একটু খেই হারান এই কিউই বোলার।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫তম ওভারে গিয়ে নিজেরদের প্রথম উইকেট নিয়েছিল কিউই বোলাররা। উদ্বোধনী ব্যাটার গুরবাজ ও জাদরান ততক্ষণে তুলে নিয়েছিল ১০০ রানেরও বেশি। তাই তো নিজেদের বোলিং শক্তিশালী করতে সাউদিকে একাদশে ফেরান অধিনায়ক উইলিয়ামসন।
বিশ্বকাপ লড়াইয়ে টিকে থাকতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচটি জেতা জরুরি নিউজিল্যান্ডের। কারণ নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে দু’টি করে জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। তাই সুপার এইটে উঠতে হলে নিজেদের তিনটি ম্যাচই জিততে হবে কিউইদের।