গুদাকেশ মতি, নামটি ক্রিকেট ভক্তদের কাছে কিছুটা অপরিচিত মনে হলেও নতুন নয়। গায়ানার এই বাম-হাতি স্পিনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেক করেছেন প্রায় দুই বছর আগে। আজ সেই মতিই যেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়ে দিলেন।
নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সুপার এইটের যাওয়ার রাস্তাটা সহজ করেই রেখেছিল ক্যারিবিয়ানরা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতেই পরের রাউন্ডে পাড়ি দিচ্ছে তারা।
তবে শুরুটা মোটেই ভাল করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে তারা এক সময় বিশ ওভার খেলতে পারবে কি না তা নিয়েই ছিল সংশয়। তবে শেরফান রাদারফোর্ডের শেষ দুই ওভারের ঝড়ে ১৪৯ রানের লড়াকু স্কোরে পৌঁছায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গত ম্যাচে উগান্ডাকে মাত্র ৩৯ রানে অল আউট করা এই বোলিংয়ের উপর ভরসা ছিল ভক্তদের। সেই কাজটা দারুণভাবে শুরু করলেন ক্যারিবিয়ান বোলররা। বিশেষ করে গুদাকেশ মতি। তিনি একাই যেন ভেঙে দিলেন কিউইদের মিডল অর্ডার।
পাওয়ার প্লের পরেই মতিকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। আর প্রথম ওভারেই সাফল্য আনেন তিনি। বিপক্ষ দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে সাজঘরে পাঠান মতি। গুড লেন্থের একটি বল উইলিয়ামসনের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক পুরানের গ্লাভসবন্দী হয়। মাত্র এক রানে সাজঘরে ফেরে কিউই অধিনায়ক।
পরের ওভারে আবারও নিউজিল্যান্ডে শিবিরে আঘাত হানেন মতি। এবার তার শিকার তরুণ ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র। বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে রাসেলের তালু-বন্দি হন রাচিন।
প্রতি ওভারে উইকেট নেওয়া যেন থামছিলই না মতির। নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আবারও উইকেট নেন তিনি। কিউই ব্যাটার মিচেলের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন মতি। ফলে মাত্র ৬৩ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় নিউজিল্যান্ড। ২৫ রানের বিনিময়ে কিউই মিডল অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
আর ভুমিকা রাখেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৩ রানের জয়ে। শিরোপা অর্জনের লক্ষ্যে নামা ক্যারিবিয়ানদের আরও একধাপ এগিয়ে দিতে বেশ সাহায্য করেছে মতির এই বোলিং ইনিংস। তাই তাঁর উপর দলের প্রত্যাশা বেড়েই চলেছে।