ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবিরে বরাবরই অলরাউন্ডারের ভিড়। শুরুর একাদশে একমাত্র প্রকৃত ফাস্ট বোলার হিসেবে ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের ভরসা আলজারি জোসেফ। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার এই ভরসার প্রতিদানও দিয়ে যাচ্ছে জোসেফ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করছেন দুর্দান্ত বোলিং।
বিশ্বকাপে তাঁদের তৃতীয় ম্যাচে ক্যারিবীয় দলে একমাত্র ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলেছেন আলজারি জোসেফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারের ভিড়ে তিনিই একমাত্র প্রকৃত ফাস্ট বোলার। দীর্ঘদিন ধরে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টিতে তার অভিষেক ঘটে ২০২২ সালে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ ওভারে জোসেফকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের চতুর্থ বলেই নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ফিন এ্যালেনকে আউট করেন ডান-হাতি এই পেসার । তিনটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে কেবলই নিজের বিধ্বংসী রূপ নিয়েছিলেন এ্যালেন। তখনই তাকে সাজঘরে ফেরান জোসেফ।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে বল করতে এসে আবারও প্রথম বলেই অলরাউন্ডার জেমস নিশামকে সাজঘরে পাঠান তিনি। নিজের দিনে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন এই কিউই অলরাউন্ডার। উইকেট নেওয়ার সাথে এই ওভারে মাত্র এক রান দেন জোসেফ।
নিজের শেষ ওভারে এসে আসল কাজটা সারেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করা গ্লেন ফিলিপস এর উইকেট নেন জোসেফ। যদিও দুই বলে দুইটি চার মেরে ম্যাচের মোড় ঘোরাতে চাইছিলেন ফিলিপস। তবে তার সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জোসেফ। ফিলিপসকে আউট করে নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটে যাওয়ার আশা ধুলোয় মিলিয়ে দেন তিনি। এর পরের বলেই টিম সাউদিকেও সাজঘরে ফেরান জোসেফ।
চার ওভার বোলিং করে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন জোসেফ। তার বোলিং নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ডকে ১৩ রানে হারিয়ে সুপার এইটের পথে ক্যারিবিয়ানরা। এর আগে পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডার বিরুদ্ধেও জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ম্যাচগুলোতেও দুইটি করে উইকেট নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান এই ডান-হাতি পেসার।