অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয় কিংবা অলৌকিক – মুস্তাফিজুর রহমানের ডেথ বোলিংকে চাইলে যেকোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায়। হ্যাঁ, তিনি ডেথ ওভার স্পেশালিষ্ট; তাঁর ওপর প্রত্যাশাই থাকে ডেথে ভাল বল করবেন। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে যা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে, সেটা রীতিমতো ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে – ডাচ ব্যাটারদের স্রেফ নাচিয়ে ছেড়েছেন বটে।
এই পেসারের শেষ দুই ওভার থেকে এসেছে চার রান! কিন্তু এর মধ্যে এক রান এসেছে ওয়াইড থেকে, এক রান এসেছে লেগ বাইয়ের সাহায্যে। আর একটা বলে লফটেড ড্রাইভ করে দুই রান নিতে পেরেছেন আরিয়ান দত্ত। অর্থাৎ বারো বলে মাত্র একটি স্কোরিং শট!
সব মিলিয়ে এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১২ রান দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি, বিনিময়ে শিকার করেছেন ডাচ কাপ্তান স্কট এডওয়ার্ডসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। আর এমন দুর্দান্ত বোলিং স্পেলে গুণে গুণে মোট সতেরোটি ডট আল আদায় করেছেন তিনি।
মুস্তাফিজ ফর্মে নেই, মুস্তাফিজ ইজ নেভার কামিং ব্যাক; ক্রিকেটীয় আলোচনায় মুস্তাফিজকে নিয়ে এসব কথা হরহামেশাই হয়। অস্বীকার করার উপায় নেই অবশ্য, তিনি এখন আর আগের মত আনপ্লেয়েবল কেউ নন। তবু দেশসেরা তিনি, তবু ডেথ ওভারে অধিনায়কের সবচেয়ে বেশি আস্থা তাঁর ওপরে।
কেন সেরা ফর্মে না থেকেও কাটার মাস্টারকে মূল্যায়ন করা হয় ডেথ ওভার স্পেশালিষ্ট হিসেবে সেটার প্রমাণ আরো একবার পাওয়া গেলো সেন্ট ভিনসটাউনে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোন উইকেট না পেয়েও তিনি দুর্ধর্ষ ডেথ বোলিং উপহার দিয়েছিলেন। বলতে গেলে, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ছন্দে আবির্ভাব ঘটেছে তাঁর।
টিম প্রিঙ্গেল সবমিলিয়ে দ্য ফিজের আটটি বল মোকাবিলা করেছেন। এই আট বলের কোনটিতেই রান করতে পারেননি তিনি; রান করবেন কি, বল কখন লিটন দাসের গ্লাভসে জমা পড়েছে সেটিই তো বুঝেননি। টাইগার তারকা তাই তাঁর কাছে দুঃস্বপ্ন হয়েই থাকবেন, এবার অবশ্য বিশ্ব সেরা ব্যাটারদের দু:স্বপ্ন হয়ে ওঠার পালা।