একটু ভিন্ন তথ্য দেই। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৫ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। না, এ তথ্যে অবশ্য কোন নতুনত্ব নেই। যদি বলি বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের শেষ দুই ওভার। সেটা নিশ্চয়ই একটু ব্যতিক্রম মনে হওয়ার কথা।
নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করেছে ২৬ রান। এখন নিশ্চয়ই বিষয়টা আরও খানিকটা পরিষ্কার হয়েছে। সেই সময়ে স্ট্রাইকে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও জাকের আলি অনিক। এই ব্যাটার মিলে শেষের দুই ওভারে পাঁচটি বাউন্ডারি আদায় করে নিয়েছেন। আর তাতেই জয়ের দূরত্ব বেড়েছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
এদিন ডেথ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। ১৫-২০ এই পাঁচ ওভারের মধ্যে ৫৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আউটের পর রান তোলার গতিতে একটু ভাটা পড়েছিল বটে। তবুও শেষ অবধি জাকের ও সাকিব তা পুষিয়ে নিয়েছেন। এই যে শেষের ৫ ওভারে প্রায় ১০ করে রান নেওয়াটা বাংলাদেশকে জয়ের দিকে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
কেনানা এর আগের ৯ ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ধুকতে হয়েছিল চরমভাবে। বল খানিক পুরনো হওয়া মাত্রই ব্যাটে পৌঁছাতে সময় নিচ্ছিল। তাছাড়া সেট ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিমের প্রস্থানের পর হুড়মুড়িয়ে গুড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। কেননা তার আগে যে আরও তিনজন ব্যাটার ফিরেছিলেন সাজঘরে। তাইতো সাকিব আর তাওহীদ হৃদয়কে রান তোলার গতি স্লথ করতে হয়েছে।
সেই সময়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে মোটে ৫১ রান। শেষদিকে সাকিব, জাকেররা দ্রুত গতিতে রান তুলতে না পারলে ১৩০-৪০ রানের আশেপাশে থেমে যেত বাংলাদেশের ইনিংস। তাতে করে আবারও জন্ম নিতো ১০-১৫ রানের আক্ষেপ। কিন্তু শেষ অবধি তেমনটি হয়নি।
সেদিক থেকে অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার জাকের। কেননা তিনি প্রায় ২০০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন শেষের দিকে নেমে। তাছাড়া সেট ব্যাটার সাকিবও হাত খুলে ব্যাট চালিয়েছেন। তিনি শেষের পাঁচ ওভারে প্রায় ১৫৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন। একজন সেট ব্যাটারের যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন সাকিব।
অন্যদিকে ফিনিশার রোলে ব্যাট করতে নামা জাকেরও নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করে যেতে পেরেছেন। তাতে করেই জয়-পরাজয়ের তফাৎ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ শেষ অবধি জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পেরেছে। এখন স্রেফ নিয়ম করে এই কাজটা করা প্রয়োজন বাংলাদশের।
কেউ একজন শেষ অবধি খেলবেন। আর অপরপ্রান্তে শেষের দিকে নামা ফিনিশার নির্ভয়ে ব্যাট চালাবেন। তবে এর আগে বাংলাদেশের টপ-অর্ডারের রানে ফেরা ভীষণ প্রয়োজন। কেবল তবেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ রানের গণ্ডি ছাপিয়ে যাওয়ার ছক কষতে সাহস দেখাতে পারবে।