২০২৩ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) লিটন দাস ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ দুইজনই ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দলে। তবে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে দলে লিটনের আগে গুরবাজকে প্রাধান্য দেয় কেকেআর। যার ফলে লিটন ভক্তদের মধ্যে হতাশার জন্ম দেয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে ‘গুরবাজের চেয়ে লিটন ভালো’ মন্তব্য করতে থাকেন।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটার ভাবা হয় লিটনকে। ২০২২ সালে ভাল খেলার ফলে অনেকে তাকে ‘বাংলাদেশের কোহলি’ বলেও আখ্যায়িত করেন। তবে সেই সময় সেরা ফর্মে থেকেও অফ ফর্মে থাকা কোহলির রান প্রায় লিটনের রানের সমান ছিল।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দূর্দান্ত ফর্মে আছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। অপরদিকে বাংলাদেশের হয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন লিটন। দুইজনেরই এটি তৃতীর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন তাঁরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ১৪ টি ইনিংসে ৩৯১ রান করেছেন গুরবাজ। ২৭.৯২ গড় এবং ১৩৫.২৯ স্ট্রাইক রেটের সাথে এই রান করেন তিনি। যার মধ্যে তিনটি অর্ধশতকও রয়েছে গুরবাজের নামের পাশে। ৩৯১ রান করতে ২২ টি চার ও ২৭টি ছক্কা হাকিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে ১৯টি ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটনের মোট রান ৩৪৫। একজন টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে তাঁর গড় মাত্র ১৮.১৫। এমনকি টি-টোয়েন্টির হিসেবে তার স্ট্রাইক রেটও নগন্য। মাত্র ১০৪.৫৪ স্ট্রাইক রেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন লিটন।
তাঁর ১৯টি ইনিংসের ১০ টিতেই স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০ এর নিচে। বিশ্বকাপে ৩ আসর খেলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র একটি অর্ধশতক। ১৯ ইনিংসে তিনি ছক্কাও হাকিয়েছে মাত্র ৮ টি। তাঁদের পরিসংখ্যানই বলে দেয় যে লিটনের থেকে ঢের ভাল ব্যাটার গুরবাজ।
লিটনকে নিয়ে অনেক আশা ছিল ভক্তদের মনে, বিশ্বাস করা হয়েছিল যে তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। এমনকি ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিনও তাঁর প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু লিটন নিজেই হয়তো বিশ্বমানের খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেনি। যাকে ভক্তরা তুলনা করেছিলেন কোহলির সাথে, তিনি কি গুরবাজের সমকক্ষ হওয়ারও যোগ্যতা রাখেন?