ভারত রানের পাহাড় গড়েছে। রোহিত শর্মার কথা বাদ দিলেও, বাকিরাও কম বেশি রান পেয়েছেন। স্ট্রাইক রেটও জম্পেশ। কিন্তু, এই রানবন্যার মিছিলে নীরব কেবল বিরাট কোহলি।
পাঁচ বল খেলে তিনি রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। এর আগে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে টুকটাক রান করে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন কিং কোহলি। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই পুরনো দশা। চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত ‘ডাক’ মারলেন কোহলি।
রোহিত শর্মা যেদিন ৪১ বলে ৯২ রানের ঝড় তুলে দিয়ে যান সেদিন আসলে বাকি কাউকে নিয়ে বলার কিছু থাকে না। তবে, ভারতের ব্যাটিংয়ে আসলে বলার আছে আরও অনেক কিছুই।
কারণ, রোহিতের বিদায়ের পরও মিডল ওভারে রান এসেছে। সেটা করেছেন সুরিয়াকুমার যাদব। সমালোচনার জবাব যদি দিতেই হয় তাহলে সুরিয়ার মত দেওয়াই ভাল। বড় মঞ্চে নাকি সুরিয়ার ব্যাটে রান আসে না।
টুর্নামেন্টের শুরুর ব্যর্থতা সুরিয়া কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বেশ ভাল ভাবেই। এর আগেই পেয়েছেন দু’টো হাফ সেঞ্চুরি। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছেন ১৬ বলে ৩১ রান। এছাড়া শিভাব দুবে বা হার্দিক পান্ডিয়াও ফর্মেই আছেন।
ফর্মে নেই কেবল বিরাট কোহলি। বিরাট কোহলি এর আগেই আইপিএলে ব্যর্থ হয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে। অনেক সমীকরণ শেষে প্লে-অফে পৌঁছাতে পেরেছিলেন বটে। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। আবারও আইপিএলের শিরোপা থেকে যায় তাঁর ধরাছোয়ার বাইরে।
তারপরও অরেঞ্জ ক্যাপটা উঠেছে তাঁরই মাথায়। তাতে কি, সমালোচনার তো শেষ নেই। বিরাট কোহলি নাকি টি-টোয়েন্টিতে অচল, এই স্ট্রাইক রেট আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে চলে না। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে স্যোশাল মিডিয়া – সব জায়গাতেই একই রব।
তাঁর জায়গায় চেন্নাই সুপার কিংসের রুতুরাজ গায়কড়, কিংবা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অভিষেক শর্মাদের সুযোগ দেওয়ার কথাও বলছিলেন কেউ কেউ। তবে, বিরাট ছিলেন অবিচল। জবাব দেওয়ার মঞ্চ খুঁজছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। কিন্তু, জবাব দেওয় তো দূরের কথা – বরং বিদায়ের দরজাও অনেকটা দেখে ফেলেছেন তিনি।