পর পর দুই ম্যাচে হোঁচট, নক আউট পর্বে উঠতে শক্তিশালী ইতালির বিপক্ষে জিততেই হতো ক্রোয়েশিয়াকে। কঠিন এই সমীকরণের ম্যাচেই লুকা মদ্রিচ করে বসলেন অমার্জনীয় ভুল, পেনাল্টি কিক থেকে তিনি পারেননি গোল করতে। তবে পরের মিনিটেই গোল করে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন। কিন্তু নাটক এখানেই শেষ হয়নি।
রাউন্ড অব সিক্সটিনের স্বপ্নে বিভোর ক্রোয়াটদের বুকে ৯৮তম মিনিটে ছুরি বসিয়ে লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন মাত্তিয়া জাক্কাগনি। ১-০ গোলে হারতে থাকা ইতালিকে ম্যাচের অন্তিম সেকেন্ড সমতাসূচক গোল এনে দিয়েছিলেন তিনি। তাতেই ক্রোয়েশিয়াকে টপকে পরের পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে ইতালি।
প্রথম ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া, দ্বিতীয় ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল আলবেনিয়ার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ইতালির অবস্থা খানিকটা ভাল ছিল অবশ্য, স্পেনের বিপক্ষে হারলেও আলবেনিয়াকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছিল তাঁরা।
সেজন্যই সেরা ষোলোতে জায়গা পেতে ক্রোয়েশিয়ার জয় দরকার হলেও ইতালির প্রয়োজন ছিল কেবল একটা ড্র। লুচিয়ানো স্পালেত্তির পরিকল্পনাতে তাই রক্ষণাত্মক ভাব ছিল, তিনজনে সেন্টার ব্যাকের সাথে দুই উইংব্যাককে একাদশে রেখেছিলেন তিনি। অন্যদিকে কোভাচিচ, ব্রোজোভিচরা স্বাভাবিকভাবেই খেলেছিল আগ্রাসী হয়ে।
প্রথমার্ধে খুব বেশি রোমাঞ্চ না ছড়ালেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের সমান সমান লড়াই ম্যাচকে উপভোগ্য করে তুলেছিল দর্শকদের জন্য। ৫৫ মিনিটের সময় লুকা মদ্রিচের পেনাল্টি মিস, অতঃপর গোল করার সাক্ষী হয় সবাই। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তাতে।
ম্যাচের শেষদিকে ক্রোয়াটদের আঁটসাঁট রক্ষণে ফাটল ধরানোর চেষ্টা থাকা ইতালির ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন ক্যালাফিওরি আর জাক্কাগনি। তাতেই রানার আপ হিসেবে শেষ ষোলোতে পাড়ি জমালো ইতালি, অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য গ্রুপের তিন নম্বরে থাকা দলগুলোর দিকে। তবে, আক্ষরিক অর্থেই তাঁদের বাদ পড়াটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।